আমার কর্মজীবী মা
আমার মা শুধু আমার মায়ের ভূমিকায় থেমে নেই। তিনি আম্বার গ্রুপ-এর মানবসম্পদ বিভাগের একজন ব্যবস্থাপক। ছোটবেলা থেকেই আমি দেখে এসেছি কীভাবে আমার মা ঘরের প্রতিটি দায়িত্ব পালন করেন। অফিসের কঠিন শিডিউল, দায়িত্ব, সবকিছু সামলে নিচ্ছেন। সকাল থেকে রাত–এক মুহূর্ত বিশ্রাম নেই। তবুও কখনো তাকে ক্লান্ত বা বিরক্ত দেখিনি। বরং, মা সবসময় আমার হাসিমুখ দেখার চেষ্টা করেছেন। নিজের আরাম–আয়েশের কথা না ভেবে আমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে চলেছেন সবসময়।
মা আমার জীবনের আশ্রয়, সাহস, আর একান্ত বন্ধু। আমার মা একজন পরিপূর্ণ দায়িত্মবান মানুষ। দাদুবাড়ি বা নানু বাড়ি সবার প্রয়োজনে মা তাঁদের পাশে থাকেন সবসময়ই। এক কথায় মা আমাদের সবার ভরসার জায়গা। আমি যখন পরীক্ষায় খারাপ করি, মা রাগ করেন ঠিকই। তবে মা-ই আমাকে বুঝিয়ে বলেন—’হার মানা নয়, আবার শুরু করাই জীবনের নিয়ম।’
বিশ্বের সব মা-ই নিঃস্বার্থভাবে সন্তানের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন। কিন্তু কর্মজীবী মায়েদের লড়াইটা একটু বেশি কঠিন। তাদেরকে প্রতিদিন দুই জগতে যুদ্ধ করতে হয়—একদিকে অফিস, আরেকদিকে সংসার। আমার মা দুই জায়গাতেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মা দিবসে আমা মায়ের জন্য ভালোবাসা।
আরিয়ান আতীব, নবম শ্রেণি, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, ঢাকা