বেকহামকে ‘স্যার’ ডাকবা

সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ও ইন্টার মায়ামির প্রেসিডেন্ট ডেভিড বেকহামছবি: রয়টার্স

পুরো বিশ্বের সামনে ডেভিড বেকহ্যামের পরিচয় দুটি। সেটি অবশ্য আজ থেকে নয়, সেই খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই। এক দিকে যেমন ফুটবলের ক্যারিয়ার গড়েছেন, আরেক দিকে গড়েছেন নিজের ফ্যাশন ক্যারিয়ার। চুলের ছাঁট, আইকনিক পোশাক নিয়ে বেকহাম আজীবনই ছিলেন আলোচনার শীর্ষে। ডেভিড বেকহামের দ্বৈত পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত হলো আরেকটি পরিচয়। ডেভিড বেকহাম এখন আর শুধু বেকহাম নন, তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্যার উপাধি। খেলাধুলা ও দাতব্যকাজে অবদানের জন্য ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ফ্যাশন আইকন ডেভিড বেকহামকে ‘নাইটহুড’ দেওয়া হয়েছে।

১৪ জুন রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে সম্মাননাসূচক ‘নাইটহুড’ লাভ করেন ডেভিড বেকহাম। সম্মানসূচক নাইটহুড পাওয়ায় বেকহামের নামের সঙ্গে যুক্ত হবে ‘স্যার’। আর তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বেকহামের সঙ্গে যুক্ত হবে ‘লেডি’। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১১৫ ম্যাচ খেলা ডেভিড বেকহাম খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান ও পিএসজির মতো ক্লাবে। যেখানেই পা ফেলেছেন, সেখানেই যেন ফ্যাশন আইকনে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। নিজ দেশ ইংল্যান্ডে এখনো তুমুল জনপ্রিয় এই মিডফিল্ডার।

ক্যারিয়ারের শুরুতে বিশ্বকাপের মঞ্চে সরাসরি লাল কার্ড দেখে যেমন পরিণত হয়েছিলেন ‘ভিলেন’-এ। তেমনি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত এক ফ্রি–কিকে গোল করে রাতারাতি বনে গিয়েছিলেন ইংলিশ ফুটবলের আইকন। ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন দুটিই খুব কাছ থেকে দেখেছেন বেকহাম। যে কারণে বিদায়ের এক যুগ পরে এসেও ফুটবলের মায়া কাটাতে পারেননি। তবে ডাগআউটে দাড়ানোর দুঃসাহস দেখাননি তিনি। সরাসরি বনে গিয়েছেন ক্লাবের মালিক। মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির বড় একটি অংশের মালিক তিনি। লিওনেল মেসিকে আমেরিকা নেওয়ার পেছনে বেশ বড় ভূমিকা ছিল তাঁর।

বেকহাম অবশ্য অনেক দিন আগে থেকেই নাইটহুড পাওয়ার জন্য তালিকায় ছিলেন। ২০০৩ সালেই ‘অফিসার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)’ উপাধি লাভ করেছিলেন। এর পর থেকেই ‘স্যার’ হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ২০১২ অলিম্পিক লন্ডনে নিয়ে আসার পেছনেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বেকহাম।

খেলাধুলায় অবদান রাখার জন্য নাইটহুড দেওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও ইংলিশ ও নন-ইংলিশ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় সম্মানসূচক নাইট উপাধি পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, দ্য লর্ড বোথাম (যিনি পরে লর্ডশিপ পেয়েছিলেন), স্যার অ্যালিস্টার কুক, স্যার অ্যান্ড্রু স্ট্রস, স্যার জেমস অ্যান্ডারসন, স্যার রিচার্ড হ্যাডলি, স্যার ভিভ রিচার্ডস ও স্যার গ্যারি সোবার্স। এ ছাড়া ফুটবলে অবদান রাখার জন্য নাইটহুড পেয়েছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, স্যার ববি চার্লটন, স্যার ম্যাট বাসবি, স্যার কেনি ডালগিশ; এমনকি গত বছর ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ স্যার গ্যারেথ সাউথগেটও পেয়েছেন নাইটহুড।

আরও পড়ুন