অধিনায়কদের প্রিয় অধিনায়ক

ক্রিকেট মাঠে অধিনায়কই দলের প্রাণ। তাঁকে কেন্দ্র করেই একটা দল হয়। দলের সাফল্যে তিনি যেমন সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হন, আবার ব্যর্থতায় তিনিই সবার আগে ওঠেন কাঠগড়ায়। ‘ক্রিকেটকে ক্যাপ্টেনস গেম’ বলা হয় এ কারণেই। আর কোনো খেলায় অধিনায়কের এত বিশাল ভূমিকা নেই।

চার দশকের সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ আজ একটা অবস্থান করে নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে। গত এক যুগে বাংলাদেশ আলো ছড়িয়েছে হাবিবুল বাশার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের সফল নেতৃত্বে। চারজনের নাম বলা হলো। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০ জন অধিনায়ক। এর মধ্যে চারজন অধিনায়কত্ব পেয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক চোটে পড়ায় বা আপৎকালীন দায়িত্ব সামলাতে। সম্প্রতি বাংলাদেশ অধিনায়কদের নিয়ে সমগ্র প্রকাশন ও বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) যৌথ উদ্যোগে বেরিয়েছে এ লেখকের বই বাংলাদেশের অধিনায়ক। বইটার কাজ করতে গিয়েই মাথায় এল, সাধারণ সমর্থকদের সবারই প্রিয় কোনো অধিনায়ক থাকেন। তোমাদের কারও ভালো লাগে মাশরাফিকে, কারও–বা অধিনায়ক হিসেবে পছন্দ সাকিবকে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়কদের চোখে সেরা অধিনায়ক কে বা কারা?

বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক শামিম কবির। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে এমসিসির বিপক্ষে যে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখল বাংলাদেশ, সেটিতে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি উঠে গেছেন ইতিহাসের পাতায়। তাঁর চোখে সেরা অধিনায়ক পাকিস্তানের আবদুল হাফিজ কারদার। আরেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদকেও তাঁর ভালো লাগত। তবে কারদারকে বেশি ভালো লাগত, সেটির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘কারদার সাহেব চুপচাপ থাকতেন, কথা কম বলতেন। কিন্তু ইমপ্রেসিভ অধিনায়ক।’

শামিম কবিরের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক হন রকিবুল হাসান। তাঁর চোখে সেরা অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। রকিবুলের যুক্তি, ‘সে শুধু পারফর্মিং ক্যাপ্টেন ছিল না, দলের অসাধারণ সব অর্জন তাঁর অধীনে। ইমরান খানও আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। পারফরম্যান্স ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে দলকে উজ্জীবিত করতে পারত।’

বাংলাদেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি খেলতে যায় ১৯৭৯ সালের জুনে, যেটি বাংলাদেশের প্রথম বিদেশ সফরও। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন শফিকুল হক। তাঁর সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কেন মাশরাফিকে এগিয়ে রেখেছেন, সেটির ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘সে খেলাটা বোঝে। নিজের খেলোয়াড়দের বোঝে। কে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেটা বোঝে। সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে পারে। আর বিশ্ব ক্রিকেটে বললে স্টিভ ওয়াহ। অধিনায়কত্বের সঙ্গে তার ব্যক্তিত্বও ছিল। দুঃসময়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছে।’

বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেনের চোখে সেরা অধিনায়ক ইমরান খান। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ককে কেন ভালো লাগে? গাজী আশরাফের বলেন, ‘খুব ভালো নেতা ছিলেন। তাঁর দলে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় ছিল। তবে তাঁর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, খেলোয়াড়দের ভেতর থেকে কিছু বের করে আনা, খেলোয়াড়কে স্বাধীনতা দেওয়া—এসব ভালো লাগত। তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনার ব্যাপারটাও প্রশংসনীয়।’

মিনহাজুল আবেদীন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। নানা কারণে অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে আফসোসের আরেক নাম। তাঁর তালিকায় সবার ওপরে বিখ্যাত ইংলিশ অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলির নাম। ‘সে অধিনায়কত্ব পেয়েছিল খুব বাজে সময়ে, যখন অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ড ধরাশায়ী। এ অবস্থায় দলকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল সে। তার ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক, আত্মবিশ্বাস, খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখা মুগ্ধ করার মতো।’

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারত ১৯৯৪ আইসিসি ট্রফিতেই। ফেবারিট তকমা নিয়ে বাংলাদেশ এই ট্রফি খেলতে গিয়েছিল ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে। কিন্তু সেবার পারেনি বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক আঙিনায় অধিনায়ক ফারুক সফল না হলেও তাঁর চোখে সেরা অধিনায়ক হচ্ছেন মাইক ব্রিয়ারলি ও ইমরান খান। ফারুকের কাছে এ দুজনের অধিনায়কত্ব ভালো লাগার ব্যাখ্যাটা হচ্ছে, ‘ব্রিয়ারলি খুব সাধারণ খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে পারত ভালোভাবে। ইমরান খানকে খেলোয়াড়েরা সবাই ভয় করত। তারপরও তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ ছিল।’

যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিরাট বাঁকবদল, সেই আকরাম খানের চোখে সেরা অধিনায়ক মাশরাফি। ‘ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, অধিনায়কত্ব; বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেটা দরকার ছিল একজন আইকন ফাস্ট বোলার। সব মিলিয়ে আমার চোখে সে সেরা অধিনায়ক। তার ভাবনা, দলকে চাঙা করে রাখা—সবকিছু মিলিয়ে মাশরাফিই আমার চোখে সেরা অধিনায়ক’—আকরামের ব্যাখ্যা শুনলে তো?

এবার যাই আমিনুল ইসলামের কাছে, যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপ। অধিনায়ক হিসেবে আমিনুলের প্রিয় ক্লাইভ লয়েড। ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তিকে কেন এত পছন্দ করেন, সেটি আমিনুলের কথায় বোঝা যাবে, ‘তাঁর জেতার মানসিকতা, দলের কাঠামো গঠন করা, সিনিয়রদের ওপর নির্ভরশীল করা ও তরুণদের যথেষ্ট জায়গা দেওয়া—এককথায় অসাধারণ!’

২০০৩ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ। ক্রিকেট–মস্তিষ্কে তীক্ষ্ণ এই অধিনায়ক পছন্দ করেন স্টিভ ওয়াহকে। অধিনায়ক হিসেবে স্টিভের দৃঢ়তা, একই সঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মুগ্ধ করে মাহমুদকে।

বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমানের সেরা অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। কিংবদন্তিতুল্য এ অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের আক্রমণাত্মক মনোভাব খুব পছন্দ নাঈমুরের, ‘দল দুর্দান্ত হলেও খেলোয়াড়দের ব্যবহার করাও জানতে হয়। স্টিভ সেটা জানত। অর্জুনা রানাতুঙ্গা নেতা হিসেবে অসাধারণ। ইংল্যান্ডের নাসের হুসেইনের নামও বলতে হবে। তাঁর ম্যাচ পড়ে ফেলার ক্ষমতা ভালো লাগত।’

নাঈমুরের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছেন খালেদ মাসুদ। তাঁর প্রিয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনি যে ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক, সেটা তো জানাই। তবে মাসুদ ধোনিকে বিশেষ পছন্দ করেন অন্য কারণে, ‘যে ম্যাচটা তার দলের অর্ধেক সম্ভাবনা আছে জেতার, সেই ম্যাচ জিতিয়ে ফেলে। ৫০ সম্ভাবনাকে ১০০ করতে পারে! তার উপস্থিত বুদ্ধি অসাধারণ। ব্যাটসম্যানকে পড়ে ফেলে উইকেটের পেছনে যেভাবে চোখের ইশারায় সতীর্থদের নির্দেশ দেয়, দুর্দান্ত!’

২০০৩ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ। ক্রিকেট–মস্তিষ্কে তীক্ষ্ণ এই অধিনায়ক পছন্দ করেন স্টিভ ওয়াহকে। অধিনায়ক হিসেবে স্টিভের দৃঢ়তা, একই সঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মুগ্ধ করে মাহমুদকে।

যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটে রচিত হয়েছে সফলতম এক অধ্যায়, সেই হাবিবুল বাশারেরও প্রিয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। হাবিবুল বলেন, ‘তিনি দলের সবাইকে প্রাধান্য দিতেন। দলের সবাই তাঁকে প্রাধান্য দিত। দলের সবার জন্য তিনি খেলতেন। স্বার্থপর ছিলেন না।’

খুব অল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হওয়া রাজিন সালেহর চোখে সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। আর শাহরিয়ার নাফীসের প্রিয় ধোনি। মোহাম্মদ আশরাফুলের পছন্দ স্টিভেন ফ্লেমিং। তাঁর পছন্দের তালিকায় অবশ্য স্টিভ ওয়াহর নামটাও আছে।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জেগেছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির চোখে সেরা অধিনায়ক কে? মাশরাফি সেরাদের তালিকা করেছেন তিন ভাগে। মাশরাফির জবানিতেই সেই তিনটা ভাগ দেখে নিই—

বর্তমান সময়ে

‘বিরাট কোহলি। পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে যে বদলানো সম্ভব, সেটি সে দেখিয়েছে তার দৃঢ়তা, কথাবার্তা দিয়ে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ভারত যেভাবে খেলছে, সেটি সম্ভব হয়েছে কোহলি অধিনায়ক বলে।’

ক্রিকেট ইতিহাসে

‘সৌরভ গাঙ্গুলী ও অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট যখন বিরাট সমস্যায়, যখন আজহারউদ্দিন, অজয় জাদেজা যখন বাদ পড়ল, তখন গাঙ্গুলী শূন্য থেকে শুরু করল। কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে দলে টানল সে। যেমন হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, মোহাম্মদ কাইফ, বীরেন্দর শেবাগ। ওই দলটাকে দাঁড় করানো, এবং বিদেশের মাটিতে যেভাবে খেলেছে, তাতে গাঙ্গুলীকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। রানাতুঙ্গাও একই। অরবিন্দ ডি সিলভা, গুরুসিনহা, হাসান তিলকরত্নের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে মুত্তিয়া মুরালিধরন, চামিন্ডা ভাস, রাসেল আরনল্ড, উপুল চন্দনার মতো তরুণদের মিশ্রণ। সনাৎ জয়াসুরিয়ার সঙ্গে কালুভিথারানাকে দিয়ে ওপেন করানো, প্রথম পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগানো—এই চিন্তাগুলোর কারণে রানাতুঙ্গাকে ভালো লাগে। তবে এই গ্রেট ক্যাপ্টেনদের সঙ্গে ব্রাকেটে রাখব রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ, ইমরান খান ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনি তার জীবনে যা অর্জনের সবই সে করেছে। আইসিসির তিনটা টুর্নামেন্ট সে জিতেছে।’

আর বাংলাদেশে

‘যদি এখনো বিশ্বকাপ জিতি, আমি বলব আমার চোখে হাবিবুল বাশার বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক। সে সাফল্যের ভিতটা গড়ে দিয়েছে। অনেকে পূর্বসূরিদের কথা ভুলে যায়। আমার চোখে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক হাবিবুল।’

বর্তমান বাংলাদেশ দলের ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসের চোখে বাংলাদেশের সবচেয়ে টেকটিক্যাল অধিনায়ক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তা সাকিবের চোখে সেরা অধিনায়ক কে? ‘স্টিফেন ফ্লেমিং’। ফ্লেমিংয়ের ভালো লাগার পেছনে অবশ্য কোনো ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যায় গেলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘আমার কাছে মনে হয় ফ্লেমিং ভালো অধিনায়ক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে অধিনায়কত্ব করেছে নিউজিল্যান্ড দলের। এ কারণে ভালো লাগত।’

আরও পড়ুন

সাকিবের মতো মুশফিকুর রহিমেরও প্রিয় অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং। পরের দিকে অবশ্য অধিনায়ক হিসেবে তাঁর পন্টিং-ধোনিকেও ভালো লেগেছে, ‘পন্টিংয়ের আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব বেশি ভালো লাগত। সে যে দল পেয়েছিল, ওই রকম দল পেলে আপনি যেকোনো কিছুই করতে পারবেন। ও রকম দলে আসলে কিছু করারও দরকার হয় না। এখন মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্ব ভালো লাগে। তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খুব ভালো। অনুমান করার ক্ষমতা খুবই ভালো।’

আপৎকালীন দায়িত্ব নেওয়া তামিমের চোখেও সেরা অধিনায়ক ধোনি। মাহমুদউল্লাহরও ধোনিকে ভালো লাগে। সঙ্গে পছন্দ করেন পন্টিংকে।

বাংলাদেশের অধিনায়কদের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেল, তাঁদের পছন্দের তালিকায় ঘুরেফিরে এসেছে হাতে গোনা কয়েকজনের নাম। হয়তো একদিন আমরা জানব, দেশের বাইরের কিংবদন্তি অধিনায়কেরাও তাঁদের পছন্দের তালিকায় রাখছেন বাংলাদেশের অধিনায়কদের নাম।

একাধিক ভোট পড়েছে যে অধিনায়কদের বাক্সে

স্টিভ ওয়াহ: রকিবুল হাসান, শফিকুল হক, নাঈমুর রহমান, খালেদ মাহমুদ, মোহাম্মদ আশরাফুল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

মহেন্দ্র সিং ধোনি: খালেদ মাসুদ, শাহরিয়ার নাফীস, মাশরাফি, মুশফিক, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ।

ইমরান খান: রকিবুল, গাজী আশরাফ, ফারুক আহমেদ ও মাশরাফি।

রিকি পন্টিং: মাশরাফি, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।

মাশরাফি বিন মুর্তজা: শফিকুল হক ও আকরাম।

মাইক ব্রিয়ারলি: মিনহাজুল আবেদীন ও ফারুক।

সৌরভ গাঙ্গুলী: রাজিন সালেহ ও মাশরাফি।

স্টিফেন ফ্লেমিং: আশরাফুল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিক।

আরও পড়ুন