কবিতা-কিআ
এখন আমার নাচের ক্লাস, / একটু পরেই গান। / একটু পরেই আসবে ঘরে / টিচার বাসার খান।
পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ি / মন যে কোথায় যায় / সকাল বেলায় মার বকুনী/ পরানটা তড়পায়।
মাঞ্জা দেওয়া সুতোয় বাঁধা ঘুড়ি / যাচ্ছে দিয়ে বাতাসে সুড়সুড়ি / ছোঁবে যেন দূর আকাশের চূড়ো / তাই কি তার এমন তাড়াহুড়ো...
‘আর কিছু নয়, পতাকাটা উড়ুক সসম্মানে’ / দেশটা যেন ওকেই কেমন বড্ড বেশি টানে! / চোটের কথা? চোট তো তাঁকে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধে; / চোটের মাঝেই জয়ী হয়ে সে-ই আসে সংবাদে।
ওই...ওই...গুরাগারা পোলাপান সবগুলারে ডাকো / বায়োস্কোপের ভেতর দিয়া সকলে চোখ রাখো। কী চমৎকার দেখা গেল...ছায়াছবি আইসা গেল / শোনো দিয়া মন, / একটা দেশে ছিল রে ভাই একটা বাংলা সন।
আমরা হলাম এ যুগের পিচ্চি / ফ্ল্যাট বাড়ির ছাদকে আমরা মাঠ বানিয়ে নিচ্ছি।
ছেড়ে দিলে ঘুড়ি / করে ওড়াউড়ি, / যায় চলে বহুদূরে / নেই তার জুড়ি।
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো। ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো। ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা। ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা। ভালো থেকো।
ডাকছে কোকিল গভীর রাতে / ছোট্ট মেয়েকে গান শোনাতে / লাফিয়ে ওঠে, ডাক শুনে সে / বেরোয় একা, একটু হেসে।
ইশকুলে যাব। ব্যাগ গোছালাম / কত না যত্ন করে / মনে হয় যেন বই-খাতা নয় / সকাল রাখছি ভরে।
এক শতে ১০০টা পেলে কেউ—মেধাবী / প্রতি মাসে করে থাকে খেলনার সে দাবি। / সবকিছু পেয়ে যায় রাগে সে, জিদে সে / উপহার নিয়ে আসে—যারা থাকে বিদেশে।
যখন ছিলাম ছোট / বুঝতাম না কিছু, / সারাটা দিন ঘুরতাম আমি / মায়ের পিছু পিছু। / মায়ের সাথে হাসি আমার / বাবার সাথে খেলা, / বায়না করে, মেলায় গিয়ে / কাটত সারা বেলা।
আমি আজি এঁকে যাব তোমাদের দেশ / মায়াভরা এ দেশের সুখ অনিমেষ। / তোমাদের সুখ আছে চালাচ্ছ গাড়ি / আরও আছে সম্পদ টাকাকড়ি বাড়ি।
গিয়েছিলাম ঘুরতে আমি / নানান আজব দেশে / আজব হাসির দেশে / আমি পৌঁছে গেলাম শেষে।
থাকব নাকো পাঠ্যবইয়ে / মুখটা গুঁজে সারাক্ষণ, / মাথায় কিছু ঢোকে না ছাই / খালি ঘোরে বন বন বন।