ঋতুপর্ণাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের সহায়তা দিল কিশোর আলো
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের সহায়তা দিয়েছে কিশোর আলো। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সহায়তার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের সহায়তা দিয়েছে কিশোর আলো। ১৩ জুলাই বিকেলে বিদ্যালয়টির ২৫ শিক্ষার্থীর জন্য ৪০০ কেজি চাল তুলে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষকের হাতে। এ চাল দিয়ে অন্তত দুই মাস চলবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান।
এই ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকেই উঠে এসেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, রুপনা চাকমা, আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনিরা। তাঁদের উত্তরসূরিরাই এখন ফুটবল অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে এই হোস্টেলে থেকে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তৈরি হচ্ছে ফুটবলার।
আজ সকালে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সহায়তার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিকেল সোয়া চারটার দিকে ঘাগড়া বাজারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ানের হাতে চালের বস্তাগুলো তুলে দেন প্রথম আলোর রাঙামাটি প্রতিনিধি সাধন বিকাশ চাকমা ও আলোকচিত্রী সুপ্রিয় চাকমা। চালগুলো পরে বিদ্যালয়ের ফুটবল প্রশিক্ষণে থাকা শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিল্পী চাকমা বলে, ‘আমরা এখন অন্তত দুই মাস নিশ্চিন্তে খেতে পারব। ৪০০ কেজি চাল বুঝে পেয়েছি। কিশোর আলোকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা খুব খুশি, আরও মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করতে পারব।’
প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে কিছু খাবারের সহায়তা দেওয়া হতো। কিন্তু গত অর্থবছরের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। এখন আর কোনো বরাদ্দ নেই। এ সময়ে কিশোর আলো পাশে দাঁড়ানোয় শিক্ষার্থীরা উপকৃত হলো। তবে হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের এখন খেলার জন্য বুটেরও সংকট রয়েছে।’
আজ সকালে কিশোর আলো ডটকমে ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাদ্যসংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই এ সহায়তার উদ্যোগ নেয়। এ সহায়তার পেছনে অনুদান নিয়ে এগিয়ে আসেন শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর।