বোনের বুদ্ধিমত্তায় বাঁচল ভাইয়ের জীবন (ভিডিও)
বড় বোনের দাপটে উল্টাপাল্টা কিছু করার উপায় থাকে না ছোট ভাইদের। খেলাধুলা শেষে যে বিছানায় একটু গড়িয়ে নেব, তার আগেই বড় বোন কান ধরে বাথরুমে পাঠায় গোসল করতে। লুকানো মার্কশিট বের করে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া যেন তাদের মহান দায়িত্ব। এত কিছুর পরও বড় বোনের ওপর বেশিক্ষণ রেগে থাকা যায় না। কারণটা পরে বলছি। তার আগে বলি, ছোট্ট লিয়া কী করে তার ছোট ভাইকে চটজলদি বুদ্ধিতে বাঁচাল ভয়ংকর এক বিপদ থেকে।
টেক্সাসের এক রোদেলা বিকেল। ভাই-বোন দুজন আনন্দে লাফাচ্ছিল ট্রাম্পোলিনে। হাসি-ঠাট্টায় ভরা মুহূর্তেই ঘটে গেল ভয়ানক এক ঘটনা। হঠাৎ ছোট ভাইয়ের গলায় আটকে গেল ক্যান্ডি। শ্বাস নিতে পারছে না সে, মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। আশপাশে বড় কেউ নেই যে সাহায্যের জন্য ডাকবে।
লিয়ার মাথায় বুদ্ধি খেলল দ্রুত। ভয় না পেয়ে সে মনে করল কারও গলায় কিছু আটকে গেলে কী করতে হয়। এক বেবিসিটিং গাইড আর মায়ের কাছ থেকে নিয়মগুলো শিখেছিল লিয়া। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইকে ধরে পেটের ওপর চাপ দিতে শুরু করল সে, যাকে বলে ‘অ্যাবডোমিনাল থ্রাস্ট’। আর ঠিক তখনই ক্যান্ডিটা বেরিয়ে এল! স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে শুরু করল তার ভাই। সবকিছু হলো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। স্থানীয় পুলিশ প্রকাশিত ভিডিওতে এমনই দেখা গেছে।
কিন্তু এই কয়েক সেকেন্ডই বদলে দেয় সবকিছু, বাঁচল একটি শিশুর জীবন। কিশোরী মেয়ে হয়ে লিয়া হয়ে উঠল সত্যিকারের হিরো। টেক্সাসের ল্যাভন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট পরে লিয়ার এই সাহসিকতার ভিডিও শেয়ার করে এবং তাকে ‘হিরো’ বলে অভিহিত করে।
লিয়ার গল্প আমাদের শেখায়, সাহস আর সঠিক জ্ঞান থাকলে বয়স কোনো বাধা নয়। সচেতনতা থাকলে যে কেউই পারে অন্যকে রক্ষা করতে। যেভাবে লিয়া তার ভাইকে রক্ষা করেছে।
শুরুতে যা বলছিলাম, কেন বড় বোনের ওপর বেশিক্ষণ রেগে থাকা যায় না। ওপরের বলা ঘটনাটিই একটি উদাহারণ। বিপদে পড়লে বড় ভাইবোনই কিন্তু আগলে রাখে পরম মমতায়।
সূত্র: ফক্স১৯নাও নিউজ