স্নো ফেইরি কি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখি
পাখির সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে। কোয়েল, দোয়েল, ময়না, শ্যামা সব পাখিই তো সুন্দর। তারপরও কোন পাখি সবচেয়ে সুন্দর, সেটা নিয়ে চলে আলোচনা। এ বিষয়ে একেকজনের একেক মত, তবে জাপানের স্নো ফেইরি নামের একটি পাখি নেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচিত।
এই পাখির আসল নাম শিমা এনাগা। শিমা এনাগা শুধু জাপানেই দেখতে পাওয়া যায়। শিমা মানে দ্বীপ। এনাগা মানে হচ্ছে লম্বা লেজওয়ালা পাখি। খুবই আদুরে এই পাখি জাপানের হোক্কাইদোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। যদিও এর কিছু আত্মীয়স্বজন ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকায়ও বাস করে।
শিমা এনাগার লম্বা লেজ, তুলতুলে গা আর এর মুখের খানিকটা গোলাকৃতি পাখিটির সৌন্দর্যকে এতটাই মনোমুগ্ধকর করে তোলে যে সারা বিশ্বে এখন পাখিটিকে জাপানের বরফ রাজ্যের রূপকথার পাখি বা স্নো ফেইরি বার্ড নামে ডাকা হয়।
পাখিটি এত সুন্দর যে ইন্টারনেটে ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়নি যে সত্যি এ রকম দেখতে কোনো পাখি আছে। স্নো ফেইরি দৈর্ঘ্যে সাধারণত ১২ থেকে ১৬ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এর লেজের অংশ কালো আর দেহের অংশ সাদা।
চোখের চারপাশ কালো তবে এর মাঝখানে বাদামি রং আছে। যদিও এর লেজ কালো ও দেহের বেশির ভাগ অংশ সাদা, তবে দেহের পেছনে ও লেজের দিকে খানিকটা ধূসর বাদামি রং দেখা যায়। এরা বাসা বাঁধে এবং ম্যাপল ও এ ধরনের গাছের আশপাশে খাবার খোঁজে।
শীতকালে এদের দেহের পালক শীত থেকে বাঁচার জন্য ফুলতে থাকে। যেন এরা নিজের দেহকে গরম রাখতে পারে। সে সময় এদের সাদা পালক এতটাই ফুলে ওঠে যে দেহটা গোলাকার হয়ে যায়। তখন পাখিগুলোকে দেখলে বরফের বল মনে হয়।
রেই ওহারা নামের এক ফটোগ্রাফার প্রথম এই পাখির ছবি তুলে সাড়া বিশ্বে পরিচিত করান। স্নো ফেইরি বার্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, একে সহজে দেখতে পাওয়া ভার। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে এদের খুঁজে পাওয়া আরও মুশকিল। তা ছাড়া স্নো ফেইরিকে ঠিক রূপকথার পাখি হিসেবে দেখতে হলে একেবারে তীব্র শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তখন তার পালক ফুলতে থাকে, আর সে সময় পাখিটিকে সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। স্নো ফেইরি বিশ্বের সবচেয়ে কিউট পাখি কি না, এ নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তোমার কি মনে হয়? স্নো ফেইরি কি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখি?