গরমে দারুণ আড্ডা

আড্ডা শেষে কিআ পাঠক ও স্বেচ্ছাসেবকেরারিফাত হাসান

প্রচণ্ড গরমের দিন। তবু কিশোর আলোর পাঠকদের মিটিংয়ে অংশ নিতে আগ্রহের কমতি নেই। সভার দিন দুপুরে সময়ের আগে সবাই হাজির এপ্রিল মাসের কিআড্ডায়। প্রথম আলোর সভাকক্ষে ২০ এপ্রিল কিআর ৯৪তম মাসিক সভা শুরু হলো। শুরুতে সবাই বড় পর্দায় উপভোগ করে কয়েকটি শর্ট ভিডিও। ছিল এগুলোর ওপর প্রশ্নোত্তর পর্ব।

কিশোর আলোর সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলমের সঞ্চালনায় শুরু হয় শীত-গ্রীষ্ম নিয়ে আলোচনা। সম্পাদক আনিসুল হক জানতে চান, সবার ঈদ কেমন কেটেছে? পয়লা বৈশাখে কে কী করেছে? প্রশ্ন করলেন, শীত ভালো, নাকি গ্রীষ্ম ভালো? পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে চলল আলোচনা। পাঠকেরা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, ভালো লেখক হতে কী করতে হবে? এ ছাড়া প্রশ্ন ছিল, লেখালেখির ক্ষেত্রে লেখার মান না সংখ্যা, কোনটি অনুসরণ করা জরুরি? আনিসুল হক সবার প্রশ্নের উত্তর দিলেন।

আমার কিছু বলার আছে
রিফাত হাসান
আরও পড়ুন

দুবাই মরুভূমির শহর হওয়া সত্ত্বেও কেন এবার এত বৃষ্টি হয়েছে? সেটা নিয়েও হয়েছে আলোচনা। এ ছাড়া এবারের সংখ্যায় নিয়মিত কয়েকটি বিভাগ ছিল না কেন? এ নিয়ে পাঠকদের মধ্যে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এ ছাড়া এই সংখ্যা নিয়ে পাঠকদের চুলচেরা বিশ্লেষণ তো ছিলই। মার্চ সংখ্যায় কী কী ভুল ছিল, কার কোন গল্প ভালো লেগেছে, কোনটির মান আরও ভালো হলে ভালো হতো—এসব নিয়ে মজার আলোচনা হয়েছে।

ক্রিপটিক ফেইট
রিফাত হাসান

এরপর ছিল মজার গেম শো। যেখানে ছিল পাঁচটি ক্লু দিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন। কে কার আগে হাত তুলে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবে, এ নিয়ে প্রতিযোগিতা চলেছে। কারণ, সঠিক উত্তর দিতে পারলেই ছিল আকর্ষণীয় পুরস্কার। এ ছাড়া ছিল কিআ নিয়ে কুইজ। যেখানে অংশ নিয়ে বিজয়ীরা জিতে নেয় কিশোর আলোর পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

বরাবরের মতো এবারের সভায়ও কিআর খুদে পাঠকেরা ছবি আঁকে। সেরা আঁকিয়েদের জন্য ছিল পুরস্কার।

আরও পড়ুন
কিআ সম্পাদক আনিসুল হক প্রশ্ন করেন ও প্রশ্নের উত্তর দেন
রিফাত হাসান

এবারের কিআড্ডায় উপস্থিত ছিল ১৯৯৩ সালে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের জনপ্রিয় হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘ক্রিপটিক ফেইট’। গান, আড্ডা আর দারুণ সব প্রশ্নোত্তরে ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে সময়টা দারুণ কেটেছে। শুরু থেকে ব্যান্ডের এ পর্যন্ত পথচলায় কী কী বাধা ছিল, পরিবারের সবার সমর্থন পেয়েছিলেন কি না—এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছে সভায় অংশ নেওয়া কিআ পাঠকেরা। ব্যান্ডের বেজিস্ট ও ভোকালিস্ট শাকিব চৌধুরী বলেছেন, ছেলেদের সঙ্গে বাবার সম্পর্কটা একটু অদ্ভুত। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তাঁর পরিবারের গল্প শুনিয়েছেন। তাঁর একটি কথা মিটিংয়ের সবাইকে হাসিয়েছে, তিনি বলেছেন, ‘উই ওয়ার ইয়াং অ্যান্ড স্টুপিড।’ ব্যান্ড নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ব্যান্ডের ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘যান্ত্রিক গোলযোগ’। কিন্তু পঞ্চম অ্যালবাম? সেটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইলেন না শাকিব চৌধুরী। কিন্তু নিশ্চিত করলেন, ভক্তদের জন্য থাকছে দারুণ চমক। তরুণ যাঁরা ব্যান্ড করতে চান, তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ক্রিপটিক ফেইটের সদস্যরা।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ছুঁই ছুঁই। বাড়ি ফেরার পালা। পরের সভার জন্য সবাই একরাশ আশা ও উদ্দীপনা নিয়ে ব্যাগভর্তি পুরস্কার আর চিপসের প্যাকেট হাতে বাড়ির পথ ধরল।

আরও পড়ুন