পৃথিবীতে মানুষ প্রতিদিন কতগুলো ডিম খায়
পৃথিবীতে মানুষ প্রতিদিন কতগুলো ডিম খায়, তা বের করা সত্যি খুব কঠিন। বিশ্বের বিভিন্ন পোলট্রি খামার ও রাষ্ট্রের ডিম উৎপাদনের পরিসংখ্যান হিসাব করে দেখা গেছে, ২০২০ সালে প্রায় ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মুরগি বছরে প্রায় ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডিম পেড়েছিল। বাজারের এর দাম কত?
মার্কিন ডলারে হিসাব করলে বাজারে এর দাম প্রায় ১১৩ বিলিয়ন ডলার। আর সেই হিসাবে দিনে পৃথিবীর প্রতি দুজনের একজন মানুষ গড়ে একটি করে মুরগির ডিম খায়।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুরগির ডিম আসে চীন থেকে। বিশ্বে যত ডিম উৎপন্ন হয় তার ৪০ শতাংশ পাড়ে চীনের মুরগি। তালিকায় এর পরের স্থানটি যুক্তরাষ্ট্রের ও তার পরের স্থান ভারতের।
মুরগির ডিমের তুলনায় বিশ্বে হাঁসের ডিমের চাহিদা কম। সাধারণ হিসাবে এশিয়ায় হাঁসের ডিম বেশি খাওয়া হয়। ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে যে পরিমাণ হাঁসের ডিম পাওয়া গেছে তাঁর বাণিজ্যিক মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার।
চীনের হাঁসগুলো ডিম পাড়ার দিক থেকে সব চেয়ে এগিয়ে। থাইল্যান্ড ঠিক এর পরের অবস্থানে। এর পরই আছে ফিলিপাইন।
কবে থেকে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি পালন শুরু
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাচীন ভারতের মানুষেরা প্রথম ডিম ও মাংসের জন্য মুরগি পালন করা শুরু করে। আর সেটাও এখন থেকে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ বছর আগে।
আর হাঁস পালনের কৃতিত্ব চীনের নাগরিকদের। ইতিহাসে আছে, দক্ষিণ চীনের নাগরিকেরা প্রথম হাঁস পালন করা শুর করেছিল, সেটি এখন থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে।
কোয়েল পাখির ডিম
একদম শুরুতে গ্রিসের নাগরিকদের ডিমের চাহিদা মেটাত মুরগি বা হাঁস নয়, কোয়েল পাখির ডিম দিয়ে। তবে সেই সঙ্গে তাঁরা উটপাখি ও প্যালিকনের ডিমও খেতো। এখন অবশ্য মানুষ সাধারণত উটপাখি কিংবা অন্য পাখির ডিম খায় না।
এখন বাজারে মুরগি, হাঁস কিংবা কোয়েল পাখির ডিম সহজেই পাওয়া যায়। ফলে আমরা খেতে পারি ডিম। গরম! গরম!