আমার সমস্যার কথা শোনো

শুক্রবারও পরীক্ষার হাত থেকে রেহাই পাই নাএআই দিয়ে তৈরি

প্রিয় কিআ,

তুমি গত সংখ্যায় বলেছিলে, তোমরা নাকি প্রায়ই শুনতে পাও যে আমরা লেখাপড়ার চাপে পিষ্ট। তুমি আমাদের সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলে। তাহলে শোনো।

দুর্গাপূজার আগে আমাদের স্কুলে সব বিষয়ে একটা করে পরীক্ষা হয়েছিল। তারপর দুর্গাপূজার জন্য স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুল খোলার পর আরেকটা পরীক্ষা শুরু হয়। কথা ছিল, দুই পরীক্ষার ১০ ভাগ আর ১০ ভাগ এক করে ২০ ভাগ বার্ষিক পরীক্ষায় যুক্ত হবে। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষাটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় বৃত্তির মডেল টেস্ট পরীক্ষা, যা এখনো চলমান। এই পরীক্ষা ১০ তারিখে শেষ হবে আর ২০ তারিখে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। বার্ষিক পরীক্ষার পর শুরু হবে বৃত্তি পরীক্ষা। বৃত্তি পরীক্ষার ঘোষণা আসার পর থেকেই প্রাইভেট, কোচিং ও স্কুল মিলিয়ে আমি প্রতিদিন তিন থেকে চারটা পরীক্ষা দিচ্ছি। পাশাপাশি স্কুলে বৃত্তির ক্লাসের পরীক্ষা তো আছেই।

আরও পড়ুন

এমনকি শুক্রবারও পরীক্ষার হাত থেকে রেহাই পাই না। শুক্রবারে চাপ থাকে আরও বেশি। বৃত্তি পরীক্ষা শেষ হতে হতে স্কুলে নবম শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। কাজেই বুঝতেই পারছ, কত সুখে দিন কাটাচ্ছি। এত কিছুর ভেতরও কিশোর আলোই আমাকে স্বস্তি দেয়। আজ ৭ তারিখ সন্ধ্যায় কিশোর আলো কিনে এনেছি। আর রাতের মধ্যেই পড়া শেষ। আগামীকাল আবার শুরু হবে সেই একঘেয়ে পরীক্ষা আর কিআর জন্য অপেক্ষা। এবারের সংখ্যাটা দারুণ হয়েছে। গল্প আর প্রচ্ছদের কথা বাদই দিলাম। কমিকস আর ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগের লেখাগুলোও এবার সত্যিই অসাধারণ ছিল। সব মিলিয়ে নভেম্বর মাসে তুমি মনের মতো একটা কিআ উপহার দিয়েছ আমাদের। ধন্যবাদ তোমাকে।

তোমার কাছে এটাই আমার প্রথম হাতে লেখা চিঠি। হাতে লেখার অবশ্য একটা কারণ আছে। ইদানীং আম্মু আমাকে ফোনের ছায়াও দেখতে দেয় না। চিঠি খুব বড় আর অগোছালো করে ফেলেছি। জানি, এত বড় চিঠি ছাপানো সম্ভব নয়, কিন্তু তোমার কাছে মনের কথাগুলো বলতে পেরে খুব হালকা লাগছে।

খাইরুল বাসার তাহসিন

অষ্টম শ্রেণি, মুকুল নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

কিআ: এত চাপের মধ্যেও যে তোমরা কিআ পড়া ও চিঠি লেখার সময় বের করে নিচ্ছ, এ জন্য তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। তোমাদের পাশে আছি, এ ছাড়া আর কিছু বলার নেই। ভালো থেকো।

আরও পড়ুন