এক জোড়া সবুজ চোখ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

২০২৪ সালের কথা। শীতকাল তখন। আমি মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছি। ঘড়িতে তখন রাত আনুমানিক ১২: ৫৫ মিনিট। রাতের খাবার খেলাম, শুয়েই গায়ে কম্বল জড়িয়ে কানে ইয়ারফোন গুঁজে ভূত এফএমের একটা পর্ব ছেড়ে দিলাম। ততক্ষণে সবাই লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়েছে। শীতকাল হওয়ায় বিছানার চারপাশে মশারি টাঙানো ছিল।

আমি ভূত এফএম শুনতে শুনতে বারবার মেঝের দিকে তাকাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল যেন মেঝেতে কেউ আছে! কিন্তু নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম যে এটা কিছু না, ভূত এফএম শুনছি, তাই ভয় ভয় লাগছে। এভাবে অনেকটা সময় কেটে গেল। কিছুক্ষণ পর যখন আমি আবার মেঝের দিকে তাকালাম, তখন দেখলাম, এক জোড়া সবুজ চোখ আমার দিকে স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে। আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠলাম।

চিৎকার শুনে সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়ল। জিজ্ঞাসা করল, কী হয়েছে? আমি সব খুলে বললাম। অমনি (ছোট মিমি) তখন বিছানা থেকে নেমে লাইট জ্বালাল, কিন্তু কেউ কিছুই খুঁজে পেল না। তারপর সবাই আমাকে বলল, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে।

আরও পড়ুন

গভীর রাত, ঘুমে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, তখন আবার আবছা চোখে দেখলাম, সেই সবুজ চোখ জোড়া আমার দিকে তাকাতে তাকাতে যাচ্ছে। ভয়ে আমি আমার পাশে থাকা দিদনকে (দিদিমা) ডাকলাম এবং বললাম যে আবার আমি ওই জিনিসটা দেখেছি। দিদন আমাকে ঘুম ঘুম স্বরে বললেন, ‘ওটা কিছু না। ঘুমিয়ে পড়ো।’ আমি দিদনের কথামতো ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু আমার মনে অজানা একটা ভয় থেকেই গেল।

পরের দিন সকালে খুঁজে বের করা হলো যে ওটা ছিল একটা বিড়াল; কোনোভাবে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েছিল। তারপর আর কী! সবাই আমাকে নিয়ে মজা করল। এমনকি আমার আট বছরের ছোট বোনটাও আমাকে নিয়ে মজা করল!

লেখক: শিক্ষার্থী, নবম শ্রেণি, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ময়মনসিংহ

আরও পড়ুন