ছুটির দিনগুলোতে যা করি

এখন আর রাত জেগে পড়তে হয় না। মোবাইল হাতে নিলেই আম্মু বকা দেবেন, সেটা নিয়েও ভাবতে হয় না। পড়াশোনা নেই, কোচিং নেই, বলতে গেলে পুরো দুনিয়াটাই যেন হঠাৎ হালকা হয়ে গেছে।

সম্প্রতি আমাদের নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সরকারের অদ্ভুত কারিকুলামের কারণে পড়াশোনায় প্রচুর চাপ ছিল। তবু শেষ পর্যন্ত সব বাধা পেরিয়ে পরীক্ষা শেষ করতে পেরেছি।

এখন চাইলে বন্ধুদের সঙ্গে ইচ্ছেমতো আড্ডা দিতে পারি। যেখানে খুশি যেতে পারি। আমরা সবাই এই স্বাধীনতায় দারুণ খুশি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিনই আমি আর আমার বন্ধুরা সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলে বসে গল্প করেছি। আম্মুও সেদিন আমাকে কিছু বলেননি।

স্কুল-কোচিং নেই বলে আম্মুর অনুমতি নিয়ে প্রায়ই বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হতাম। মাঝেমধ্যে একটু রাত করেও ফিরেছি। বাড়ি ফিরে আম্মুকে বলতাম সারা দিন কোথায় কোথায় ঘুরেছি, কী করেছি—সবই খুলে বলতাম।

আরও পড়ুন

ডিসেম্বরের শেষের দিকে গ্রামে আমার এক ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়িটিকে সত্যিই একটি আদর্শ গ্রামবাংলার বাড়ি বলা যায়। সেখানে গরু, ছাগল, পাতিহাঁস, রাজহাঁস, মুরগি, কুকুর, বিড়াল—সব ছিল। ছিল নদী, পুকুর, বিল, যথেষ্ট প্রকৃতির ছোঁয়া। সবুজে ঘেরা সেই পরিবেশ আমার খুব ভালো লেগেছিল।

রাতে ব্যাডমিন্টন খেলারও ব্যবস্থা ছিল। গ্রামের পরিষ্কার বাতাস, ভেজালমুক্ত খাবার—সবকিছুই ছিল অসাধারণ। বিলে ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কেটেছি। কোথাও হাঁস দেখলেই ওদের পিছু ধাওয়া করেছি। একবার তো একটি আস্ত রাজহাঁসও ধরে ফেলেছিলাম!

এখন ঢাকায় ফিরে সেসব দিনের কথা খুব মনে পড়ে। সেসব দিন এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে, তবে খুব সুন্দর স্মৃতি।

লেখক: শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন