বাবাকে নিয়ে কী লিখলেন ফুটবলার সৌরভী?
খেলার মাঠে একের পর এক গোল দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ফুটবলার সৌরভী আকন্দ। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই খেলোয়াড় খেলার মাঠে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে তিনি একের পর এক গোল করে পরিচিত। কখনো এক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেও আলোচনায় এসেছেন তিনি।
সৌরভী আকন্দ নিজের দিকে মনোযোগ টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ২০২২ সালেই। তখন থেকেই তাঁকে ভাবা হচ্ছিল মেয়েদের ফুটবলের নতুন তারকা। ২০২২ সালে ঢাকায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু পাওয়া গিয়েছিল সৌরভী নামের দারুণ এক স্ট্রাইকারকে। ওই টুর্নামেন্টে ভুটানের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৬ গোলসহ সৌরভী করেন ৯ গোল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, দুই ম্যাচে তাঁর গোল ছিল ৯!
সেই সৌরভী নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব–১৬ ফুটবলে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। চার ম্যাচে ৫ গোল করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটাও সৌরভী পেতেন, ফাইনালে তাঁকে ছাড়িয়ে যান ভারতের আনুশকা কুমারী। সাফ জেতার পর সৌরভী সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে না পারার আক্ষেপ উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারিনি তো কী হয়েছে, দেশ তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’
বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত দারুণ খেলার পুরস্কার হিসেবে সৌরভী জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছেন। জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, সিনিয়র খেলোয়াড়েরা তাঁকে অনেক সাহায্য ও উৎসাহ দেন।
২০২৫ সালের ২৮ আগস্ট সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। নেপালের বিপক্ষে ৪-১ গোলে বাংলাদেশের জয়ে তিনি একাই হ্যাটট্রিক করেছেন। অন্য গোলটি করেন থুইনু মারমা।
সৌরভী এবার নিজের বাবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। বাংলাদেশের এই তারকা ফুটবলার সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন।
সৌরভী লিখেছেন, ‘ভরসার আরেক নাম বাবা! হাজার কষ্ট লুকিয়ে নীরব থেকে, সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে নিজেকে বিলিয়ে দেন। বাবা তুমি না থাকলে আজকের এই আমি কিছুই হতে পারতাম না। তোমার প্রতি ভালোবাসা আজীবন থাকবে।’
লেখার শেষে তিনি তাঁর বাবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।