জন্মদিনে মেসিকে নিয়ে এই ১০টি তথ্য জানতে?

মেসির পুরো নাম: লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচ্চিত্তিনি

নাম রাখার রহস্য

মেসির বাবা হোর্হে হোরাসিয়ো ছিলেন সংগীতশিল্পী লিওনেল রিচির বড় ভক্ত। তাঁর নামের কথা ভেবেই তিনি ছেলের নাম লিওনেল রাখার পরিকল্পনা করেছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেসির মা সেলিয়া কুচ্চিত্তিনি।

ডাকনাম: মেসির ডাকনাম ‘লা পুলগা’ (La Pulga)। La Pulga একটি স্প্যানিশ শব্দ। শব্দটির অর্থ ‘পিঁপড়া’ বা ‘ফ্লি (flea)’, অর্থাৎ একধরনের ছোট্ট কীট বা পোকা, যারা লাফিয়ে বেড়ায়। স্প্যানিশ ভাষায় ‘La Pulga’।

মেসির প্রিয় খাবার: মেসির প্রিয় খাবার ‘মিলানেসা’। আর্জেন্টাইন জনপ্রিয় খাবারটি মূলত ইতালীয় ‘মিলানেস’ থেকে এসেছে। মিলানেস হলো একধরনের ব্রেডেড কাটলেট, লবণ, অরেগানো, ভাজা গরুর মাংস, কাটা টমেটো, পেঁয়াজ, পনির ও সামান্য চিনির মতো বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি। মেসির মায়ের মুরগির রেসিপিটিও তাঁর সব সময়ের প্রিয় খাবার।

প্রথম ক্লাব

মেসি ছয় বছর বয়সে নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের যুব একাডেমিতে যোগ দেন। ক্লাবটির হয়ে প্রায় ৫০০ গোল করেছিলেন তিনি।

অভিষেকেই লাল কার্ড

আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক ম্যাচেই লাল কার্ড পেয়েছিলেন মেসি। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৪৭ সেকেন্ডেই লাল কার্ড পান তিনি। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জিতেছিল।

বিশ্বকাপে গোল

সর্বকনিষ্ঠ আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করেন মেসি। ২০০৬ বিশ্বকাপে মেসি যখন গোল করেন, তখন তাঁর বয়স ১৮ বছর ৩৫৭ দিন। সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন বাঁ পায়ের জাদুকর।

ক্লাবের প্রথম জার্সি নম্বর

২০০৪-০৫ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে (এসপানিওলের বিপক্ষে) অভিষেকে মেসি নম্বর ৩০ জার্সি পরেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে অবশ্য ১০ নম্বর জার্সিতেই খেলেছেন মেসি। তবে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে গিয়ে তিনি আবারও ৩০ নম্বর জার্সি বেছে নেন।

এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল

এক ক্যালেন্ডার বছরে মেসি একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি ৯১ গোল করেছেন। ২০১২ সালে মেসি ক্লাব ও দেশের হয়ে (৭৯+১২ = ৯১ গোল) এ রেকর্ড করেন। এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালে করা জার্ড মুলারের ৮৫ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।

গোল্ডেন বল

মেসি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বল’ জেতেন। যদিও আর্জেন্টিনা ফাইনালে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল।