কত লিগ চলে রে

১ মার্চ শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হেসেখেলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএল শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। একদিকে যখন পুরো বাংলাদেশ মেতে ছিল বিপিএলের আনন্দে, তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলেছে আরও চারটি আলাদা আলাদা ফ্র্য্যাঞ্চাইজি লিগ। শ্রীলঙ্কা সিরিজ না থাকলে বাংলাদেশের কয়েকজন খেলোয়াড়ই বিপিএল শেষ করে পাকিস্তানের ফ্লাইট ধরতেন পিএসএল খেলার জন্য। মনের অজান্তে তাই একটা প্রশ্ন চলেই আসে, কতগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আসর বসে বছরজুড়ে?

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানুষের প্রথম পরিচয় ২০০৫ সালে। অথচ তারও বছর দুয়েক আগে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করে ইংল্যান্ড। কাউন্টি ক্রিকেটে দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে ওয়ানডে টুর্নামেন্টের বদলে করা হয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ২০০৩ সালে ‘দ্য টি-টোয়েন্টি কাপ’ দিয়ে শুরু হয় সে লিগের পথচলা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। অঢেল টাকা আর দর্শকপ্রিয়তা থেকে শুরু হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের যাত্রা।

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের যাত্রা শুরু হয়েছিল নিষিদ্ধ লিগ আইসিএল দিয়ে। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে টাকার ছড়াছড়ি শুরু হয়েছিল তাদের হাত ধরেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি তারা। তাদের টেক্কা দিতে পরের বছরই যাত্রা শুরু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিলের।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ - আইপিএল (ভারত)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০০৮

দলসংখ্যা: ১০

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: চেন্নাই সুপার কিংস

২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএল ছিল সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। আইপিএল খেলতে ছুটে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের নামীদামি তারকারা। আইপিএলের মূল আকর্ষণ ছিল নিলাম। চড়া মূল্য দিয়ে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছিল দলগুলো। এমনকি চিরশত্রু পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরাও বিক্রি হয়েছিলেন চড়া দামে। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আইপিএল এখনো সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। ১৬ বছর পরও বিন্দুমাত্র জৌলুশ হারায়নি তারা। আইপিএল এখন এতটাই জনপ্রিয় যে আইপিএলের দুই মাস আন্তর্জাতিক দলগুলো নিজেদের শিডিউল ফাঁকা রাখে, যাতে তাদের খেলোয়াড়েরা আইপিএলে চড়া মূল্যে বিক্রি হতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, বর্তমানের প্রতিটি টি-টোয়েন্টি লিগের ভিত্তি এই আইপিএল ফরম্যাট। স্ক্যান্ডাল, স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে আইপিএলে। তবু এই লিগকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। মার্চের ২১ তারিখ ভারতে বসতে চলেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। দুই মাসের জন্য আবারও টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাটে বুঁদ হতে চলেছে সবাই।

আরও পড়ুন

বিগ ব্যাশ লিগ - বিবিএল (অস্ট্রেলিয়া)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০১১

দলসংখ্যা: ৮

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: ব্রিজবেন হিট

টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন লিগগুলোর একটি হলো বিগ ব্যাশ। বিগ ব্যাশের শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের ছয়টি প্রদেশের ছয়টি দেশ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিগ ব্যাশ’ লিগের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিভাগুলো উঠে আসত বিগ ব্যাশ থেকে। ২০১০ সাল পর্যন্ত বিগ ব্যাশের মালিকানা ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতে। আইপিএলের সাফল্য দেখে ২০১১ সালে নতুন করে নিজেদের ব্র্যান্ডিং করে বিগ ব্যাশ। ‘বিগ ব্যাশ লিগ’ নামে নতুন করে যাত্রা শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের। আগের ৬টি প্রদেশকে বাদ দিয়ে নতুন করে ৮টি শহরকে নিয়ে শুরু হয় বিগ ব্যাশের যাত্রা। জানুয়ারি মাসে পর্দা নেমেছে বিগ ব্যাশের ১৩তম আসরের।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ - বিপিএল (বাংলাদেশ)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০১২

দলসংখ্যা: ৭

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: ফরচুন বরিশাল

২০১২ সালে আইপিএলের ফরম্যাট অনুসরণ করে বাংলাদেশে শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল। তুমুল দর্শকপ্রিয়তা থাকার কারণে দ্রুত বিশ্ববাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিপিএল। দেশ-বিদেশের নামীদামি তারকাদের নিয়মিতই দেখা যেত বিপিএলে। কিন্তু ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডে অনেকটাই ধাক্কা খায় বাংলাদেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সেই ধাক্কা সামলে যেই না নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কাজ করা শুরু করেছে বিপিএল, তখনই আরেক ধাক্কা দেয় করোনা মহামারি। এত কিছুর পরও মাঠে গড়িয়েছে বিপিএলের ১০টি আসর। বয়স ও আসরের দিক দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে আইপিএল-বিগ ব্যাশের পরই বিপিএলের অবস্থান।

আরও পড়ুন

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-সিপিএল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০১৩

দলসংখ্যা: ৬

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স

২০১০ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দেশগুলোর খেলোয়াড়দের নিয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টি দলকে আরও শক্তিশালী করাই ছিল ‘ক্যারিবিয়ান টোয়েন্টি টোয়েন্টি’ লিগের লক্ষ্য। কিন্তু আইপিএল এবং বিপিএলের সাফল্য দেখে ‘ক্যারিবিয়ান টোয়েন্টি টোয়েন্টি’ লিগকে সরিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের নিয়মে দেশগুলোর সঙ্গে সুযোগ পেত আমন্ত্রিত একটি দল। ২০১৩ সালে সেই টুর্নামেন্টকে ছুড়ে ফেলে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয় ‘ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ’। বিপিএলের এক বছর পর শুরু হলেও আসরের দিক থেকে বিপিএলকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। এখন পর্যন্ত ১১ বার মাঠে গড়িয়েছে সিপিএল।

পাকিস্তান সুপার লিগ-পিএসএল (পাকিস্তান)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০১৬

দলসংখ্যা: ৬

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: লাহোর কালান্দারস

অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের থেকে পিএসএলের ফরম্যাটটা কিছুটা ভিন্ন। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে সাধারণত ফ্র্যাঞ্চাইজগুলোর আলাদা আলাদা মালিক থাকে। তারা নিজেদের মতো করে টাকা দিয়ে দল কিনে নেয়, তাদের দিয়ে পারফর্ম করায়। কিন্তু পিএসএলের দলগুলোর কোনো মালিক নেই। বরং পুরো পিএসএলই একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, যার ছয়টি শেয়ার কিনে নিয়েছে ছয়টি আলাদা দল। যাদের দল প্রতি মৌসুমে মুখোমুখি হয় শিরোপার লড়াইয়ে। পিএসএলের অষ্টম আসর এখন চলছে পাকিস্তানে।

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ-এলপিএল (শ্রীলঙ্কা)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০২০

দলসংখ্যা: ৫

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: বি-লাভ ক্যান্ডিস

২০১১ সালে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পরিকল্পনা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ এসএলপিএল ছিল প্রথম লিগ, যেখানে প্রথমবারের মতো ভারতের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে সেই লিগ মাঠে গড়ায়নি। ২০১২ সালে এক মৌসুমের জন্য নামলেও অর্থনৈতিক ব্যর্থতায় তা গুটিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কান বোর্ড। অবশেষে ২০১৮ সালে নতুন করে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ এলপিএলের পরিকল্পনা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তা মাঠে নামতে নামতে পার হয়ে যায় ২০২০ সাল। এখন পর্যন্ত মোট চারবার মাঠে গড়িয়েছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ।

আরও পড়ুন

গ্লোবাল টি ২০ কানাডা (কানাডা)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০১৮

দলসংখ্যা: ৬

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: মন্ট্রিয়ল টাইগার্স

আইসিসির সহকারী দেশ হিসেবে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করা দেশ হলো কানাডা। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু করে তারা। দুই মৌসুম আয়োজনের পর কোভিড-১৯ আক্রমণের কারণে ২ বছর বন্ধ থাকে টুর্নামেন্ট। ২০২৩ সালে আয়োজন করা হয় টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরের।

এসএ টোয়েন্টি (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০২২

দলসংখ্যা: ৬

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেইপ

এখন যে লিগগুলো নিয়ে কথা বলব, তাদের নিজস্ব লিগ না বলে আইপিএলের ছোট ভাই বললেও খুব একটা ভুল হবে না। লিগগুলোতে দলের নিজস্বতা নেই বললেই চলে। বরং আইপিএল সেখানে হাজির হয়েছে নিজেদের ফ্রাঞ্চাইজ নিয়ে। অনেক আশা নিয়ে ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি লিগে সূচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু স্পনসর ও টিভি স্বত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় মাঠে গড়ানোর আগেই থেমে যায় লিগ। ২০১৮ সালে লিগ মাঠে গড়ালেও তা টিকতে পেরেছিল মাত্র ২ মৌসুম। কোভিডের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া লিগ আর নতুন করে শুরু হয়নি। অবশেষে ২০২২ সালে নতুন করে শুরু হওয়া লিগের দলগুলোর মালিকানা কিনে নেয় আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজগুলো। ছয় দলের এই লিগের এখন পর্যন্ত দুটি মৌসুম অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই মৌসুমেই এর শিরোপা ঘরে তুলেছে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেইপ।

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি - আইএল টি-টোয়েন্টি (সংযুক্ত আরব আমিরাত)

ছবি: লিগটির এক্স (টুইটার) ফিড থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০২৩

দলসংখ্যা: ৬

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: এমআই এমিরেটস

পরপর দুবার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল আরব আমিরাত। অবশেষে আইপিএল মালিকদের সহায়তায় ২০২৩ সালে শুরু হয় ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি। এটিই একমাত্র লিগ যেখানে এক দলে ৯ জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে পারবেন। এ ছাড়া এই লিগের কোনো ম্যাচ খেলোয়াড়দের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয় না। সহযোগী দেশদের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে বলে এই টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচের ‘লিস্ট এ’ মর্যাদা নেই। এখন পর্যন্ত দুই মৌসুম মাঠে নেমেছে এই টুর্নামেন্ট।

আরও পড়ুন

মেজর লিগ ক্রিকেট (যুক্তরাষ্ট্র)

ছবি: এক্স থেকে সংগৃহীত

সূচনা: ২০২৩

দলসংখ্যা: ৬

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন: এমআই নিউইয়র্ক

কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আমেরিকান লিগেরও কোনো ‘লিস্ট এ’ মর্যাদা নেই। বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রায় ৩ বছর ধরে নিজেদের টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের চেষ্টায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে এসে প্রথমবারের মতো লিগ আয়োজন করে তারা। প্রথম ও একমাত্র আসরের শিরোপা জিতে নেয় এমআই নিউইয়র্ক।

এ ছাড়া ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে সম্প্রতি চালু হয়েছে উইমেনস টি-টোয়েন্টি লিগ। একই ফরম্যাটে মেয়েদের জন্য তৈরি করা হয়েছে লিগটি। বাংলাদেশেও মেয়েদের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। এ তো গেল টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কথা। এ ছাড়া ভুঁইফোড়ের মতো আনাচকানাচে গড়ে উঠেছে আরও কয়েকটি লিগ। ১০ ওভারের লিগ আয়োজন হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। এমনকি ১০০ বলের ক্রিকেটও আয়োজন করা হয়েছে ইংল্যান্ডে।

প্রশ্ন হচ্ছে এত এত যে লিগ হয়, এতে দর্শকদের আগ্রহ কতটুকু? বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, খালি মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে লিগগুলো। এশিয়ার দেশগুলো বাদে বেশির ভাগ লিগই থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। টিভির চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে আটকা না পড়লে জানাও হয় না, লিগগুলো চলছে। দর্শক দেখুক বা না দেখুক, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যত দিন লাভের মুখ দেখছে, তত দিন লিগদের দৌরাত্ম্য থামছে না এতটুকু নিশ্চিত।