ঋতুপর্ণাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার সামগ্রী দিল কিশোর আলো, এগিয়ে এলেন একজন প্রবাসী

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণে থাকা শিক্ষার্থীদের খেলার সামগ্রী দিয়েছে কিশোর আলো। ২১ জুলাই সকালে স্কুলটির শিক্ষার্থীদের বুট, মোজা ও বল দেওয়া হয়েছে। খেলার সামগ্রীগুলোর অভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অনুশীলন ব্যাহত হচ্ছিল। এখন আরও ভালোভাবে অনুশীলন হবে বলে জানান স্কুলটির প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষার্থীদের খাবার ও খেলার সামগ্রীর সংকট নিয়ে কিশোর আলোতে সংবাদ প্রকাশের পর নেপালে থাকা একজন প্রবাসীও খেলার সামগ্রী পাঠিয়েছেন।

২১ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার সামগ্রী দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেওয়া হয় এসব সামগ্রী । এগুলোর মধ্যে ১১ জোড়া বুট, ১১ জোড়া মোজা ও ২টি বল। এর আগে ১৮ জুলাই নেপালের ইউনিসেফের এক কর্মকর্তাও কিছু খেলার সামগ্রী পাঠান শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান বলেন, ‘কিশোর আলোতে সংবাদ প্রকাশের পর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুটের সাইজ নিয়ে ১৭ জোড়া বুট, ১৭ জোড়া ইনার, ১৭ জোড়া মোজা, ১৭ জোড়া শিনগার্ড ও ৫টি বল পাঠান তিনি। এসব দিয়ে দু–তিন মাস নিয়মিত অনুশীলন করা যাবে।’

আরও পড়ুন

উল্লেখ্য, এই ঘাগড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকেই উঠে এসেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, রুপনা চাকমা, আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনিরা। তাঁদের উত্তরসূরিরাই এখন ফুটবল অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে এই হোস্টেলে থেকে। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তৈরি হচ্ছে ফুটবলার।

বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি ছাত্রী দীপা চাকমা ও অষ্টম শ্রেণির স্মৃতি চাকমা বলে, বেশ কিছুদিন ধরে খেলার সামগ্রীর সংকটের কারণে তাদের অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটেছে। কিশোর আলো থেকে এই সহযোগিতায় তারা সবাই খুশি। এসব দিয়ে আগামী কয়েক মাস নিয়মিত অনুশীলন করতে পারবে, খেলতে পারবে। এমন সহায়তা পেলে তারা ভবিষ্যতে দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবে।

এর আগে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ১৩ জুলাই জন্য ৪০০ কেজি চাল দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের জন্য। কিশোর আলোর উদ্যোগে এই খাদ্য ও খেলার সামগ্রী তহবিলে অনুদান দিয়েছেন শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর।

আরও পড়ুন