যেসব ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিয়েছে মানবজাতিকে
২৮ মার্চ, ২০২৫-এ প্রতিবেশী মিয়ানমার ও তার পাশের দেশ থাইল্যান্ড কেঁপে উঠেছিলো ভয়ংকর ভূমিকম্পে । এই ঘটনায় মিয়ানমারে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি নাগরিক। সেই তুলনায় থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা কম। এই ভূমিকম্পে দেশ দুটির অজস্র ভবন, সড়ক সহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ভূমিকম্প পৃথিবীর অন্যতম এক প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি যে কোন সময় যে কোন দেশে ঘটতে পারে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন ভূমিকম্পের কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত শক্তির বের হতে থাকা, যা এমন এক সিসমিক ঢেউ-এর সৃষ্টি করে , তার ফলে পৃথিবী কেঁপে ওঠে।
সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ ভূমিকম্পকে মোকাবেলা করে আসছে। মানব ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন সকল সভ্যতায় ভূমিকম্পের ঘটনার উল্লেখ আছে ।
মানব ইতিহাসে লিখিত প্রথম যে ভূমিকম্পের ঘটনা সম্বন্ধে জানা যায় সেটা ঘটেছিল যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১৮৩১ সাল আগে। এটি ঘটেছিল মেসোপোটেমিয়া উরুক শহরে। যা বর্তমানে ইরাকে অবস্থিত।
গ্রিক জাতিকে অনেক ভূমিকম্পের মোকাবেলা করতে হয়েছে। যার ফলে তারা ভূমিকম্প নিয়ে তারা বেশ চিন্তা ভাবনা করত। গ্রিকদের ভাবনায় সমুদ্র দেবতা পোসাইডন ছিল ভূমিকম্পের দেবতা, যার হাতে ছিল এক ত্রিশূল। এই ত্রিশূল দিয়ে সে যখন পৃথিবীকে আঘাত করত তখন পৃথিবী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠত।
নিচে পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা তুলে ধরা হলো।
ক্রিট
গ্রিস
৩৬৫ খ্রিষ্টাব্দ
২১ জুলাই, ৩৬৫। গ্রিস সভ্যতায় ভয়াবহ যে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল সেটি ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের ক্রিট দ্বীপে । বর্তমানের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন এর মাত্রা ছিল ৮.০ এর চেয়ে বেশি। এর ফলে যে সুনামি দেখা দেয় তার উচ্চতা ছিল নাকি ৩০ মিটারের বেশি ছিল। এর প্রভাবে ভেসে যায় মিশর ও লিবিয়ার উপকূল। শুধু তাই নয়, সে সময় যে সকল জাহাজ সমুদ্রে ছিল সেগুলোকে এই সুনামি উপকুল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ডাঙ্গায় ঠেলে নিয়ে যায়। সুনামির ফলে দ্বীপের প্রায় সব বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। জীবিত ছিল দ্বীপের মাত্র কয়েকজন বাসিন্দা।
আন্টিওক
তুরস্ক
৫২৬ খ্রিষ্টাব্দ
২০ মে, ৫২৬ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের সে সময়কার এক নগরী আন্টিওক সকাল বেলা কেঁপে ওঠে। সে সময় শহরটি ছিল এক সমৃদ্ধ রোমান শহর। এখন এলাকাটির নাম আনতাকিয়া। এটা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। আর এটি কেবল তুরস্ক নয় সিরিয়াতেও আঘাত হানে। যদিও এর মাত্রা ছিল ৭.০, কিন্তু এই ভূমিকম্পের আঘাতে পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল আর মারা গিয়েছিল প্রায় ২,৫০,০০০ জন মানুষ। এই ভূমিকম্পের পরে আবার মাটির কেঁপে ওঠা যাকে আমরা বলি আফটার শক সেটা নাকি ১৮ মাস পর্যন্ত চলেছিল। একই এলাকায় ২০২৩ সালে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এর মাত্রা ছিল ৭.৮ । এই ভূমিকম্পে তুরস্কে নিহত ৫৩,৫৩৭ নাগরিক আর সিরিয়ায় নিহত হয়েছিল প্রায় ৮৪৭৬ নাগরিক। এই ভূমিকম্পের পর তিন মাস জুড়ে এই এলাকায় প্রায় ৩০, ০০০ বার আফটার শক দেখা দিয়েছিল।
দামঘান, ইরান
৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দ
বর্তমান ইরানের দামঘান এলাকায় ৮৫৬ সালে এক ভূমিকম্প হয়েছিল। সে সময় এটি ছিল পারস্য সাম্রাজ্যের কুমিশের অংশ। ৮.০ মাত্রার এই ভূমিকম্প প্রায় দুই লাখ নাগরিক মারা যায়, আর শহরের বেশির ভাগ এলাকার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। ইতিহাসে এই ভূমিকম্প আরেকটি কারণে স্মরণীয় যে ভূমিকম্পের পরে পুরো এলাকায় এক অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে।যুক্তরাষ্ট্রের জুওলজিকাল সার্ভের মতে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ছয়টি ভূমিকম্পের মধ্যে এটি একটি ।
জায়া, ইন্দোনেশিয়া
৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দ
বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার ইরিয়ান জায়া নামের এক স্থানে এক প্রচণ্ড শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে ৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে। ৮.০ মাত্রার এই ভূমিকম্প এক সুনামির সৃষ্টি করে, উপকূল ধ্বংস করে দেয়। আর ধারণা করা হয় এতে হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
লেভান্তে, জর্ডান উপত্যকা
১০৩৩ খ্রিষ্টাব্দ
লেভান্তে নামে পরিচিত জর্ডান উপত্যকায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৭ থেকে ৭.১। ভূমিকম্পের তীব্রতার মাত্রা কম হলে এতে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছিল ব্যাপক। এতে এই এলাকায় ৭০, ০০০ নাগরিক নিহত হয়। আর এই ঘটনায় নাবলুস, জেরিকো, হেব্রন, টাইবেরিয়াস, আসকেলন ও আক্রের মত সভ্যতার লীলাভূমি নামে পরিচিত শহরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আলেপ্পো, সিরিয়া
১১৩৮ খ্রিষ্টাব্দ
বর্তমান সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৫। ১১ অক্টোবর ১১৩৮ সালে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে । এর আগের দিন ১০ তারিখে একটা মৃদু ভূমিকম্প জানান দিয়েছিল যে সামনে আরো বড় ভূমিকম্প আসছে। এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ২,৩০, ০০০ জন । এটিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভূমিকম্পে নাকি মাটি ফেটে গিয়েছিলো, ও অনেক এলাকা দেবে গিয়েছিলো। এই ঘটনায় আরো অনেকে মারা যেত, যদি না তাঁর আগের দিনের ভূমিকম্পের ফলে সতর্ক হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে খোলা মাঠে বা অন্য কোথায় সরে না যেত।
হোনসু, জাপান
১১৮৫ খ্রিষ্টাব্দ
জাপানের হোনসু এলাকায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্প জাপানের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। এর মাত্রা ছিল ৮.০০, আর ধারণা করা হয় এতে ৩০,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে, এই ভূমিকম্পের ফলে এক বিশাল সুনামির সৃষ্টি হয়। আর এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়
শানশি, চীন
১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ
২৩ জানুয়ারি, ১৫৫৬ সালে চিনের শানশি প্রদেশে এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যেটাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প বলা হয়। এটির মাত্রা ছিল ৮.০ । এটা এতটা ভয়াবহ ছিল যে এই এই ভূমিকম্পে প্রায় ৮,৩০,০০০ জন-এর বেশী নাগরিক মারা যায়। এর ফলে মাটি শুধু ফেটে যায়নি, বিশাল বিশাল হ্রদের সৃষ্টি হয়েছিল। পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে পড়েছিল, ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়েছিল ও এই এলাকার প্রায় সকল বাড়ি গুড়িয়ে গিয়েছিল।
লিসবন, পর্তুগাল
১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দ
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন একবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। সেটা ছিল ১৭৫৫ সালে নভেম্বর মাসের প্রথম দিন। সেদিন ছিল অল সেইন্টস ডে নামের এক উৎসবের দিন। যার ফলে শহর ছিল নাগরিকদের এক মিলন উৎসবের কেন্দ্র। সেদিন সকাল বেলায় এই উৎসব বেদনায় রূপান্তরিত হয় যখন সকাল ৯.৪০ মিনিটে ৭.৭ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে পুরো শহরটার অনেক বাড়ি নাকি মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। ভূমিকম্পের পরে এক সুনামি এসে আঘাত হানে, আর শহরে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনায় প্রায় এক লক্ষ নাগরিক মারা গিয়েছিল।
শিলং, আসাম
১৮৯৭
বাংলাদেশ বিশাল এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের শিলং। ১২ জুন, ১৮৯৭ সালে সংঘটিত এই ভূমিকম্পে প্রায় বলা যায় পুরো ভারত, ভুটান, বার্মা নাকি কেঁপে উঠেছিল। প্রায় তিন মিনিট স্থায়ী এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল প্রায় ৮.২। আর এতে ১৫৪২ জন-এর মত নাগরিক নিহত হয়েছিল। এতে অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এর আগে ১৭৮২ সালে আসামে আরেকটি ভূমিকম্প হয়। সেটার ফলে একটা নদের গতিপথ পালটে গিয়েছিল। আর এই নদের নাম ব্রহ্মপুত্র।
মেসিনা ও রেজ্জিও, ইতালি
১৯০৮
১৯০৮ সালে ইতালিতে এক ভূমিকম্প সংঘটিত হয় আর মাত্রা অন্য ভূমিকম্পের চেয়ে কম হলে এর ক্ষতির মাত্রা ছিল ভয়াবহ। পুরো ইতালি এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ও এরপর সুনামিতে ভেসে গিয়েছিল মেসিনা ও রেজ্জিও কালাবারিয়া অঞ্চল। আর এই ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিল প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার জনের মত নাগরিক।
কান্টো, জাপান
১৯২৩ সাল
এটা জাপানের রাজধানী টোকিওতে আঘাত হেনেছিল । জাপানের ইতিহাসে অন্যতম এক ভয়াবহ ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পের পর মনে হয়েছিল টোকিও শহরকে কে যেন দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে, এর মাত্রা ছিল ৭.৯। আর এতে মারা গিয়েছিল ১,৪০,০০০ জন নাগরিক।
চিলির
১৯৬০
২২ মে ১৯৬০ সালে চিলিতে যে ভূমিকম্প হয়েছিলো সেটাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মাত্রা ছিল ৯.৫ । এটি প্রায় পুরো দশ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। এর হলে যে সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল সেটা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, হাওয়াই, ফিলিপাইন , জাপান এমন কী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উপকূল। এই ঘটনায় যতটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল, তার তুলনায় অনেক কম মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। এই ঘটনায় প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ নাগরিক মারা গিয়েছিল। তবে এদের মধ্যে চিলি ছাড়াও হাওয়াই, জাপান ও ফিলিপাইনের নাগরিক ছিল।
টাঙ্গসান, চীন
১৯৭৬
২৮ জুলাই ১৯৭৬। গভীর রাত । টাঙ্গসানের অধিবাসীরা তখন ঘুমে অচেতন। ঠিক সে সময় একবিংশ শতকের এক ভয়ংকর ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয় টাঙ্গসানবাসী। চীনের হিবেই প্রদেশের টাঙ্গসান সিটি কেঁপে ওঠে ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে। মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে যায় শহরটি । শহরের ৮০ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। প্রায় ৩,০০০,০০ জন নাগরিক এই ঘটনা মারা যান। এই ভূমিকম্পের কম্পন ১১০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত টের পাওয়া গিয়েছিল।
সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
২০০৪
পৃথিবীর ইতিহাসে এক ভয়াবহ এক দিন ছিল ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ । এই দিন সুমাত্রায় ৯.১ মাত্রার এক ভূমিকম্প সংঘটিত হয় । এই ভূমিকম্পের ফলে যে সুনামি তৈরি হয় সেটা পুরো ভারত মহাসাগরে এক প্রবল ঢেউ এর সৃষ্টি করে যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত এর আন্দামান নিকবোর দ্বীপ, ও থাইল্যান্ডের উপকূল। অজস্র সাধারণ নাগরিক ও পর্যটক যে সুনামিতে প্রাণ হারায়। ধারণা করা হয় ২,৩০,০০০ জন নাগরিক এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল। কিন্তু এর ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেটার পরিমাপ করা আজো সম্ভব হয়নি।
সিচুয়ান, চীন
২০০৮
১২ মে, ২০০৮ চীনের সিচুয়ান প্রদেশে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয় । এর মাত্রা ছিল ৭.৯ । এই ঘটনায় চেংডু ও এর আশেপাশের এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এতে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৯০,০০০ জন নাগরিক।
হাইতি
২০১০
১২ জানুয়ারি তারিখে হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্স ও তাঁর আশেপাশের এলাকা ধ্বংস করে দেয় এমন এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। এই ঘটনায় প্রাণ যায় দেশ প্রায় দুই লক্ষ মারা যায়, কিন্তু গৃহহীন হয় প্রায় ১৫ লক্ষের বেশি লোক। এই ঘটনায় দেশটির রাস্তাঘাট এমন ভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল যে ত্রাণ কর্মীদের জন্য উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল।
নেপাল
২০১৫
ভূমিকম্পের ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল না তবে এই ভূমিকম্পের প্রভাব বাংলাদেশ ভারত ও চীন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ২৫ এপ্রিল ২০১৫ এই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এই ঘটনায় নেপালের ৮৮৫৭ , ভারতের ৭৮, চীনে ২৫ ও বাংলাদেশে ৪ জন নাগরিক মারা গিয়েছিল। কয়েক জন বিজ্ঞানীর গবেষণায় জানা যাচ্ছে এই ভূমিকম্পের পর নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর তলদেশ খানিকটা সরে গিয়েছে । এছাড়াও হিমালয়ের বরফ ধসে মারা যায় অনেক পর্বত আরোহী ও পর্যটক। যারা ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এই ঘটনায় নেপালের অনেক পুরাকীর্তি বা পুরোনো মন্দির ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাশিয়া
২০২৫
রাশিয়ার হোক্কাইডোর উত্তরাঞ্চলসহ দেশটির কিছু অংশে ৩০ জুলাই বুধবার স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
ইউএসজিএস শুরুতে জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ৮। পরে তা দুই দফায় সংশোধন করে ৮ দশমিক ৮ করা হয়।
শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে রাশিয়ায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ভূমিকম্পকে দেশটির কামচ্যাটকা উপদ্বীপে গত কয়েক দশকের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলা হচ্ছে।