তুমি কি ভূতে ভয় পাও
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। যারা ভূতে ভয় পায়, আর যারা ভূতে ভয় পায় না। তুমি কোন দলে? ভূতে তুমি আসলেই ভয় পাও নাকি পাও না? আর পেলে কতটা, তা নিয়ে জানার জন্য আজকের পর্ব। তুমি ভীতু না নির্ভীক, তাও যাচাই করে নেওয়া যাক। তোমার নিজেকে যাচাইয়ের আগেই তোমাকে একটা প্রশ্ন করি। তোমার কী মনে হয়, ভূত কি কেবলই গল্পের চরিত্র? ভূতের রাজ্যে ভয় নিয়ে তোমার অবস্থান কোথায়, নিজেই নিজেকে যাচাই করে নাও।
১. গভীর রাত, তুমি নিজের ঘরে একা বসে আছ। হঠাৎ খুট করে একটা শব্দ হলো, মনে হলো, কেউ যেন তোমার নাম ধরে ডাকছে। তোমার প্রতিক্রিয়া কী হবে?
ক. ধুর! হয়তো মনের ভুল বা বাইরে থেকে কোনো শব্দ এসেছে। পাত্তা দেব না।
খ. কৌতূহলবশত শব্দের উৎস খুঁজতে যাব, হয়তো কোনো কিছু পড়ে গেছে।
গ. ভয়ে বুক ধড়ফড় করবে, কান পেতে শোনার চেষ্টা করব শব্দটা কোথা থেকে এল।
ঘ. ঘরের সব আলো জ্বেলে দেব এবং কাউকে ফোন করে ঘটনাটা জানাব।
২. তোমার পছন্দের একটা ভূতের সিনেমা দেখছ। হঠাৎ করে পর্দায় একটি ভয়ংকর দৃশ্য এল। তোমার কেমন লাগবে?
ক. হাসব এবং ভাবব, ‘এ তো সত্যি না, অভিনয়।’
খ. দৃশ্যটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। এটি যে কাল্পনিক, তার প্রমাণ নিজেকে দেব।
গ. অস্বস্তি বোধ করব, কিন্তু চোখ সরাব না।
ঘ. চোখ বন্ধ করে ফেলব বা চ্যানেল পরিবর্তন করব।
৩. তোমার বন্ধুরা তোমাকে একটা পুরোনো, পরিত্যক্ত বাড়িতে ঘুরতে নিতে চাইল। বাড়িটিতে ভূত আছে শুনলে তুমি কি যাবে?
ক. অবশ্যই! এমন সুযোগ হাতছাড়া করব না।
খ. যাব, তবে বন্ধুদের পেছনে থাকব এবং সতর্ক থাকব।
গ. যাব, তবে শর্ত থাকবে যেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে।
ঘ. যেতে রাজি হব না, এমন জায়গা আমার পছন্দ নয়।
৪. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হঠাৎ মনে হলো, তোমার বিছানার নিচে কিছু একটা আছে। কারণ, খসখসে একটা শব্দ তুমি সম্ভবত শুনতে পেয়েছ। এমন অবস্থায় তুমি কী করবে?
ক. ‘আরে ধুর’ বলে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ব।
খ. পাত্তা না দিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করব। কারণ, আমি জানি বিছানার নিচে কিছু নেই।
গ. মোবাইলের আলো দিয়ে সাবধানে বিছানার নিচে উঁকি দেব।
ঘ. ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জলদি বিছানা থেকে নামব এবং বাতি জ্বালাব।
৫. কিশোর আলোতে দারুণ একটা ভূতের গল্প ছাপা হয়েছে। সবাই গল্পটাকে খুব ভয়ের বলছে। তুমি কি গল্পটা পড়ে দেখবে?
ক. হ্যাঁ, অবশ্যই পড়ব। কিশোর আলোর সংখ্যা হাতে পেয়ে প্রথম সুযোগেই গল্পটা পড়ে ফেলব।
খ. পড়ব, তবে দিনের বেলা। একা একা যখন থাকব তখন পড়ব না।
গ. পড়ব না, ভূতের গল্প পড়ে অযথা ভয় পেতে চাই না।
ঘ. আমার ভয়কে আর বাড়াতে চাই না।
৬. ধরো গভীর রাতে একা একা বাসায় আছ তুমি। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। চারপাশে ঘোর অন্ধকার। তোমার কেমন লাগবে?
ক. বিরক্ত হব, কিন্তু কোনো দুশ্চিন্তা হবে না। মোমবাতি বা ফোনের আলো জ্বালাব।
খ. এটা আমার কাছে অ্যাডভেঞ্চারের মতো মনে হবে। অন্ধকারে চারপাশ দেখার চেষ্টা করব।
গ. কিছুটা অস্বস্তি বোধ করব, তবে পরিস্থিতি অতটা জটিল নয়। ভৌতিক কিছু অন্ধকারে থাকে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
ঘ. আমি অন্ধকার ভীষণ ভয় পাই। দ্রুত বাসার মানুষজনকে ফোন করব বা বাসার পাশে কেউ থাকলে তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করব।
৭. রাতে বিছানায় একা ঘুমাবে তুমি। বিছানার এক পাশে শুতে কি তোমার অস্বস্তি হয়? একদম মাঝখানে শুয়ে বিছানার নিচে কিছু আছে, এমন কল্পনা তুমি করো কি?
ক. এটা একটা হাস্যকর কথা। আমি নির্ভয়ে বাতি বন্ধ করে একা একা ঘরে ঘুমাতে পারি।
খ. বিছানার নিচে অশরীরী কিছু থাকে, এমন বিশ্বাস করি না। তবে হঠাৎ একটু অস্বস্তি আমার হতে পারে।
গ. কিছুটা ভয় লাগে মাঝেমধ্যে, তবে ঘুমাতে পারব না, এমন কিছু নয়।
ঘ. আমি বিছানার মাঝখানে ঘুমাই। একপাশে ঘুমাতে আমার ভয় লাগে। অন্ধকার ঘরে চলতে ভয় লাগে।
৮. ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মনে হলো কেউ তোমার বুকের ওপর বসে আছে এবং তোমাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করছে। তুমি জেগে উঠে কী করবে?
ক. নিজেকে শান্ত করব এবং বোঝার চেষ্টা করব এটা দুঃস্বপ্ন ছিল।
খ. দ্রুত উঠে বসে ঘরের চারপাশে তাকাব।
গ. ভয়ে চিৎকার করে উঠব এবং আলো জ্বেলে দেব।
ঘ. মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরের ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করব।
৯. ছোটবেলায় নানা ধরনের গল্প শুনে আমাদের মধ্যে একরকম ভয় ঢুকে যায়। যেমন রাতে অন্ধকার জানালার বাইরের জগৎটা কারও কাছে ভয়ংকর মনে হয়। কেউ হয়তো গল্প শুনেছিল, পানির নিচে থাকে এক বুড়ি। পানির কাছে গেলে বুড়ি টেনে পাতালে নিয়ে যায়। বড় হয়ে আমরা জানালার বাইরে কিছু আছে বলে ভয় পাই। আমরা পানির কাছে যেতে ভয় পাই। তোমার কি এমন কোনো গল্পের কারণে মনে ঢুকে যাওয়া ব্যাখ্যাতীত ভয় আছে?
ক. হ্যাঁ, এমন গল্প আমি শুনেছি। তবে আমার মধ্যে ভয় নেই।
খ. গল্প শুনে আমার মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। তবে তীব্র ভয় নেই।
গ. আমি অন্ধকার বা ছোটবেলার শোনা গল্পের কারণে অসম্ভব ভয় এখনো পাই।
ঘ. আমার তীব্র ভয় আছে। আমি কিছু বিষয় একদম এড়িয়ে চলি।
১০. তোমার কি মৃত মানুষ, শ্মশান বা কবরস্থান নিয়ে অস্বস্তি আছে? এ জায়গাগুলো কি তুমি এড়িয়ে চলো?
ক. যারা মারা যায়, তাদের প্রতি আমার মমতা আছে। শ্মশান বা কবরস্থানে আমি নিয়মিত যাই।
খ. কিছুটা ভয় লাগে, তবে আমি এসব জায়গায় যাই।
গ. আমি কিছুটা আতঙ্কিত হই। এসব বিষয় থেকে দূরে থাকি।
ঘ. অসম্ভব ভয় লাগে। এসবে আমি নেই।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য
তোমার নম্বর:
১. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
২. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৩. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৪. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৫. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৬. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৭. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৮. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
৯. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
১০. ক-১, খ-২, গ-৩, ঘ-৪
তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে:
১০-২০: ভূতে ভয় পাও না
তুমি ভূতকে ভয় পাও না। বরং ভূত তোমাকে দেখলে ভয় পেতে পারে। এ কারণে যে তোমার ভূত নিয়ে কোনো ভয়ই নেই। ভৌতিক কোনো অবস্থায় তোমার বিশ্বাস নেই। তুমি সাহসী। ভূতের প্রতি তোমার ভয় কম। কৌতূহল অনেক বেশি। ভূতের ভয় নেই, এদের নিয়ে জানার আগ্রহই তোমার বেশি।
২১-৩৫: ভূতকে ভয় পাও, তবে কৌতূহলও আছে
তুমি ভূতকে ভয় পাও, তবে তোমার মনে ভূতের প্রতি একধরনের কৌতূহল কাজ করে। ভৌতিক সিনেমা দেখতে ভালোবাসো। তবে একা দেখতে চাও না, অবশ্যই ভয়ে। ভূত নিয়ে আলোচনায় তোমার আগ্রহ আছে। ভূতকে পুরোপুরি এড়াতে পারো না। তুমি যুক্তি দিয়ে বিষয়টা ডিল করো, কিন্তু মনের গভীরে একটু ভয় কাজ করে।
৩৬-৫০: হালকা গা ছমছম করে, বেশ ভয়ও আছে
ভূতের কথা শুনলে তোমার গা একটু ছমছম করে বটে, তবে তুমি সেটাকে খুব একটা পাত্তা দিতে চাও না। ভূতের ভিডিও বা ছবি দেখলেও চোখ বন্ধ করে ফেলো। তুমি সাহসী, তবে ভূতের বেলায় তোমার সাহস একটু কমে যায়। মাঝেমধ্যে কৌতূহল হয়, তবে ভয়ের কারণে বেশি দূর যেতে পারো না। তুমি ভূতে ভয় পাও।
৫১-৬০: ভূতের ছায়া মাড়ানোও তোমার জন্য দুঃস্বপ্ন
ভূতের নাম শুনলেই দুই হাত লাফিয়ে ওঠো। ভূতের ছবি, ভিডিও দেখলে তোমার ঘুম ছুটে যায়। অন্ধকারে একা থাকতে পারো না। তোমার জন্য ভূত মানে মহাবিপদ। ভূত বিষয়ে তোমার কৌতূহল নেই। ভূত ভূতের জায়গায়, আমি আমার জায়গায়, এই তোমার নীতি।