বিশ্বের যে জায়গাটির নাম সবচেয়ে বড়
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জায়গার নাম শুনলে তুমি হয়তো অবাক হবে। হলফ করে বলতে পারি, জায়গাটা তুমি চেনো। কিন্তু ঠিক আসল নামে নয়, অন্য নামে। এটা কোনো অজপাড়াগাঁ বা জঙ্গলের ভেতরের কোনো এক আদিবাসী গ্রাম নয়। জায়গাটি আসলে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শহর। আকাশচুম্বী দালান, ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ সেখানে বাস করে। বছরে আরও প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ পর্যটকের আনাগোনায় শহরটি সব সময় মুখর থাকে।
সেই শহরের নাম আমরা চিনি ব্যাংকক নামে। থাইল্যান্ডের রাজধানী। কিন্তু থাইল্যান্ডের স্থানীয় মানুষেরা একে ব্যাংকক নামে ডাকে না! গ্রামের অনেকে হয়তো এই নামটা জানেও না। বিদেশিদের দেওয়া ব্যাংকক নামটা সম্ভবত এসেছে ‘বাং কো’ থেকে। এর মানে ‘দ্বীপ গ্রাম’। অনেকে আবার বলেন, এটা এসেছে একধরনের বুনো ফলের নাম থেকে।
কিন্তু থাইদের কাছে তাদের প্রিয় রাজধানীর নাম ক্রুং থেপ। এর অর্থ ফেরেশতাদের মহানগরী বা সিটি অব অ্যাঞ্জেলস। ২০২২ সালে থাই রয়্যাল সোসাইটি এই নামকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে। যদিও বিদেশিদের জন্য ব্যাংকক বলায় কোনো মানা নেই।
এবার আসা যাক মূল নামে। সেই ১১১ অক্ষরের আসল নাম! এতক্ষণ যে ক্রুং থেপ নামের কথা বললাম, এটা ডাকনাম। এ শহরের একটা দাপ্তরিক বা রাজকীয় নাম আছে। আর সেটিই হলো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জায়গার নাম!
‘ক্রুং থেল মহানখোন আমন রত্নকোসিন মহিনথারা অযোধ্যা মহাদিলক পপ নপরাচনা রত্নথানি বুরি রম উদোম্রাচনিওয়েত মহাস্থান আমন পিমান আউতান সাথিৎ সাক্কাথাত্তিয়া উইতসানুকাম প্রাসিৎ।’ এটাই সেই নাম। বিশাল এই নামের অর্থ ‘ফেরেশতাদের শহর, অমরদের মহানগরী, নয়টি রত্নের জাঁকজমকপূর্ণ শহর, রাজার আসন, রাজপ্রাসাদের শহর, ঈশ্বরের অবতারদের বাসস্থান এবং বিশ্বকর্মার দ্বারা ইন্দ্রের নির্দেশে নির্মিত শহর।’
ভাবতে পারো, এত বড় নাম কি কেউ বলতে পারে? মনে রাখে কীভাবে? আসলে থাইলান্ডের মানুষ পারে। এমনকি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও নামটা বলে দিতে পারে মুখস্থ। কারণ, থাইল্যান্ডের স্কুলের বাচ্চাদের এই নাম মুখস্থ করানোর জন্য একটা বিশেষ ছড়া বা গান শেখানো হয়। ছোটবেলা থেকে গাইতে গাইতে ওটা তাদের মুখস্থ হয়ে যায়।
সূত্র: আইএফএল সায়েন্স