দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

সাধারণত বাসায় কলিংবেল বাজলে ইভান দরজা খোলে না। বেল বাজতে থাকে, বাজতেই থাকে, কিন্তু তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটে না। ধরো, ইভান ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় বেজে উঠল কলিংবেল। ইভান পাশ ফিরে আবার ঘুমাবে। ‘কে কলবেল বাজায় রে/ঘুম কেন ভাঙায় রে/আমার প্রাণ যে মানে না/কিছুই ভালো লাগে না...’ —এই টাইপ চেতনা ইভানের নেই। কলিংবেল বাজছে? বাজুক, সমস্যা কী? ইভান ধরেই নিয়েছে, বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সে এমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ হয়ে ওঠেনি যে লোকজন তার সঙ্গে হুটহাট দেখা করতে চলে আসবে। একইভাবে, বর্তমান পৃথিবীতে এমন কেউ নেই-ও, যে কলিংবেল বাজালে ঘুম-খাওয়া-গান শোনা বাদ দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে হবে। তাই ইভান তার ইচ্ছেমতো চিত–কাত হয়ে পড়ে থাকে। বেলবাদক একবার-দুবার-তিনবার বেল বাজাতে বাজাতে একসময় বিরক্ত হয়ে চলে যায়।

তবে মাঝে মাঝে ইভানেরও মনে হয়, ‌‘আরে এরা কারা? কোত্থেকে এল এরা?’ সে চিন্তা করে দেখেছে, হতে পারে এরা ডিশের লোক, কিংবা ডেসকোর লোক। হতে পারে বাড়িওয়ালাও। এদের কারও সঙ্গেই ইভানের কোনো লেনদেন নেই। বিল নিতে লোক এলে দরজা খুলে সে কী বলত? ‘আম্মা বাসায় নাই, পরে আসেন।’ ইভান যদি দরজা না খুলে তাকে বেল বাজাতে দেয়, একটু পর সে নিজেই চলে যাবে। কিন্তু এই যে ইভান উঠবে, স্যান্ডেল পরবে, দরজা খুলবে, তারপর ‘আম্মা বাসায় নাই’ কথাটা বলে আবার দরজা লাগাবে, স্যান্ডেল খুলবে...পুরো ব্যাপারটাই অর্থহীন। তাই বেল বাজলেও ইভান তার কাজ অব্যাহত রাখে। এমনকি যদি কোনো কাজ না-ও থাকে, তারপরও সে উঠে দরজা খুলতে যায় না। কী দরকার?

তবে কোনো একদিন রাখাল বালকের মতো ঘটনা যে ঘটতে পারে—ইভান সেটাও আন্দাজ করতে পারে। বেল বাজল, সে ভাবল মুরগিওয়ালা এসেছে। কিন্তু আসলে ঘটনা ভিন্ন। পাশের বাসায় আগুন লেগেছে, সবাইকে বের হতে হবে। কিন্তু ইভান জানে, বাঙালি এমন চিজ, আগুন লাগলে চিৎকার করে এলাকা ফাটিয়ে ফেলবে, কিন্তু কাউকে সতর্ক করতে বেল বাজাবে না।

আজ বোধহয় ব্যতিক্রম। বেলবাদক বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছে না, বেল বাজাচ্ছে একটানা। ঘড়ি দেখল ইভান। স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। এমনিতেও উঠতে হতো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে পড়ল সে। কিছু না বলে চুপচাপ গিয়ে দাঁড়াল দরজার পাশে। ১০-১৫ বার বেল বাজিয়ে দৌড় দিল কে যেন। শব্দ শুনে বিরক্ত হলো ইভান। দরজা খুলল না, দাঁড়িয়েই রইল চুপচাপ। ইভান জানে, এটা মোটামুটি অলিখিত একটা নিয়ম—দরজা না খুললে যে বেল বাজিয়েছে সে আবার আসবে। হলোও তাই। আবার এসে মনের সুখে বেল বাজাতে লাগল বেলবাদক। নিঃশব্দে দরজা খুলে চুপচাপ ওর সামনে দাঁড়িয়ে রইল ইভান। বাচ্চা একটা ছেলে বেল বাজাচ্ছে। ছেলেটা বেল বাজানোতে এতই ব্যস্ত ছিল, ইভান যে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে তা খেয়ালই করেনি।

‘কে জানে। কোনো মিটিং-ফিটিং ডাকছে হয়তো হেডু।’ বেঞ্চের ওপর কলম দিয়ে ছবি আঁকতে আঁকতে জবাব দিল রাহাত। ‘স্যারের টাকটা আজকে বেশি চকচক করতেছে না? পুরা কচকচা পেয়ারার মতো লাগতেছে।’

বাজানো শেষ করে ঘুরতেই আচমকা ইভানকে দেখে ভয় পেয়ে গেল ছেলেটা। দুই হাত দূরে সরে গেল চমকে। ইভান নির্বিকার। ছেলেটা মাথা নিচু করে তাকিয়ে আছে মেঝের দিকে। একবার ভাবল চলে যাবে, আবার গেলও না। চোখের পলক না ফেলে চুপচাপ তাকিয়ে রইল ইভান (এটা সে স্কুলে প্রায়ই করে)। ছেলেটা ভয়ে ভয়ে বলল, ‘আর বেল টিপব না।’

‘তুমি কোথায় পড়ো?’ পাল্টা প্রশ্ন করল ইভান।

‘ক্লাস থ্রিতে।’

‘কী কী শেখায় তোমাদের?’

‘রাইমস শেখায়, ম্যাথ শেখায়।’

‘কলিং বেল বাজানো শেখায় না?’

‘জি না।’

‘তাহলে বেল বাজাচ্ছিলা যে?’

‘আর কোনো দিন বাজাব না।’

‘এমনিতেই বাজাচ্ছিলা নাকি কোনো কারণ আছে?’

‘আর কোনো দিন বাজাব না।’

‘মিউজিকটা সুন্দর না? মাঝে মাঝে তো বাজাতেই পারো।’

‘আর কোনো দিন বাজাব না।’

‘ঠিক আছে, যাও তাহলে।’

আরও পড়ুন

ছেলেটা ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেল। ইভানের মনে হলো, এই ছেলে আসলেই আর কোনো দিন কলিংবেল বাজাবে না। দরকার হলে দরজায় নক করে দৌড় দেবে, কিন্তু কলিংবেল? অসম্ভব।

ইভান হলে অবশ্য দমে না গিয়ে আবার কলিংবেল বাজাত। এই কাজে সে বেশ দক্ষ। এখন পর্যন্ত কোনো দিনও বেল বাজিয়ে ধরা পড়ার রেকর্ড নেই ইভানের। ওর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আগের এলাকার অনেকেই বিল্ডিংয়ের কলিংবেল খুলে ফেলেছিল। আগের এলাকার কথা মনে হতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল ইভান। এই নতুন এলাকা ওর একেবারেই ভালো লাগে না। ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলের দিকে রওনা দিল ইভান।

*

‘২৫!’

‘ইয়েস বস!’

হেসে উঠল ৩১৫ নম্বর কক্ষে বসা পুরো দশম শ্রেণির ‘খ’ শাখা। রোল কলের খাতা থেকে চোখ তুলে ছাত্রদের দিকে তাকালেন ক্লাস টিচার জমিরউদ্দিন সরকার। কড়া চোখে তাকালেন রোল নাম্বার ২৫-এর দিকে। ‘শয়তানের শয়তান! বদমাইশ! বের হ ক্লাস থেকে। আমার সঙ্গে বাঁদরামি! বের হ! স্ট্রেট অ্যাবসেন্ট দিয়ে দেব একদম!’

‘সরি স্যার! আর এ রকম হবে না!’ অনুনয় করে বলে উঠল রোল ২৫।

‘কান ধর। কান ধরে বেঞ্চের ওপরে দাঁড়া। কুইক।’

‘প্লিজ…স্যার…মাফ করে দেন…’

‘দাঁড়াবি? নাকি অ্যাবসেন্ট দেব?’

এদিক-ওদিক তাকিয়ে ধীরে বেঞ্চের ওপরে উঠে দাঁড়াল রোল নম্বর ২৫। মাথা নিচু করে দুই হাত দিয়ে এমনভাবে দুই কান ধরল সে, যেন দূর থেকে মুখ দেখে বোঝা না যায় কান ধরে কে দাঁড়িয়ে আছে।

আবার রোল কল শুরু করলেন জমিরউদ্দিন সরকার।

‘২৬!’

আরও পড়ুন

কারও সাড়া না পেয়ে নাম ডাকার খাতা থেকে ক্লাসের দিকে তাকালেন তিনি। নাকের ডগায় চলে আসা চশমাটা ঠেলে জমিরউদ্দিন সরকার তাঁর ভাঙা গলায় বললেন, ‘২৬ আসে নাই?’

‘জি না স্যার।’ পেছন থেকে বলে উঠল কেউ একজন। ২৬ নম্বর রোলের পাশে অনুপস্থিতির ঘরে দাগ দিলেন জমিরউদ্দিন সরকার। এত করে বলেও শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারছেন না। প্রতিদিন কেউ না কেউ অনুপস্থিত। কারও পেটব্যথা, কারও জ্বর, কারও আত্মীয় মারা গেছে…তুচ্ছ যতসব অজুহাত! একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন তিনি।

‘স্যার, আসব?’

‘না। বাইরেই থাকো।’ খাতা থেকে মুখ না তুলেই বললেন জমিরউদ্দিন সরকার। আবার হেসে উঠল পুরো ক্লাস। জমিরউদ্দিন সরকার দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলেন কোনো ছাত্র নয়, দপ্তরি জাকির দাঁড়িয়ে আছে।

‘অ্যাই সাইলেন্ট! একদম চুপ!’ লেকচার টেবিলে ডাস্টারের বাড়ি দিয়ে ছাত্রদের হাসি থামালেন অভিজ্ঞ শিক্ষক। ইশারায় আসতে বললেন জাকিরকে। দ্রুত পায়ে তাঁর কাছে চলে এল জাকির।

জমির স্যার কথা বলছেন জাকিরের সঙ্গে। এই সুযোগে নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করল ছাত্ররা। মৃদু গুঞ্জন ক্লাসে। বাঁ সারির একেবারে পেছনের বেঞ্চের ঠিক আগের বেঞ্চটায় বসে আছে ইভান। ‘কী এমন গোপন আলাপ করছে স্যার?’ পাশে বসা রাহাতকে জিজ্ঞেস করল সে।

‘কে জানে। কোনো মিটিং-ফিটিং ডাকছে হয়তো হেডু।’ বেঞ্চের ওপর কলম দিয়ে ছবি আঁকতে আঁকতে জবাব দিল রাহাত। ‘স্যারের টাকটা আজকে বেশি চকচক করতেছে না? পুরা কচকচা পেয়ারার মতো লাগতেছে।’

‘ঠিক। সার দেওয়া পেয়ারা। হাইব্রিড।’

‘দোস্ত, তোরে একটা চ্যালেঞ্জ দেই। যদি স্যারের টাকে টাচ করতে পারিস, তাইলে ট্রিট পাবি।’

‘কী খাওয়াবি?’

আরও পড়ুন

‘যা চাবি তা-ই। তাই বইলা আনলিমিটেড খাওয়া চাইস না। লিমিটেরও একটা সীমা আছে এটা মাথায় রাখিস।’

‘ওকে। আমি রাজি।’

‘তাইলে রেডি হবি নাকি? স্যার তো এইদিকেই আসতেছে।’

ইভান খেয়াল করল দপ্তরি জাকিরকে নিয়ে ওদের দিকেই আসছেন জমির স্যার। দ্রুত সোজা হয়ে বসল ও। জমির স্যার ঠান্ডা গলায় বললেন, ‘ইভান! উঠে দাঁড়াও তো।’

দ্রুত উঠে দাঁড়াল ইভান। ‘কী ব্যাপার? হঠাৎ আমাকে দাঁড় করাচ্ছে কেন?’ ভাবল সে। জাকির দ্রুত ইভানের ব্যাগের জিপার খুলতে শুরু করল। চমকে বাধা দিল ইভান।

‘আরে কী মামা, ব্যাগ খুলতেছেন কেন?’

‘তুমি চুপ করো।’ ধমক দিলেন জমির স্যার। ‘ওকে দেখতে দাও।’

কী ঘটছে কিছুই বুঝতে পারল না ইভান। জাকির মামা ব্যাগের ওপরের অংশটা খুলে হাতড়ে দেখা শুরু করল। যা ভেবেছিল তা–ই। কিছুই পেল না জাকির মামা। ব্যাগে যা ছিল, তা অনেক আগেই অন্য জায়গায় রেখে এসেছে সে। আর বিষয়টা কারও জানারও কথা না। ‌‘সকাল সকাল অযথা হয়রানি!’ বিরক্ত হলো ইভান। স্কুলের দপ্তরি জাকিরকে অবশ্য সন্তুষ্ট মনে হলো না। পারলে ব্যাগের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে বই-খাতা বের করা শুরু করল জাকির। রাগ হলো ইভানের। ‘আরে মামা, আমাকে বলেন, আপনি তো সব ওলটপালট করে দিতেছেন।’ ওর কথায় অবশ্য কাজ হলো না। ব্যাগের নিচের অংশটায় হাত দিয়েই থেমে গেল জাকির মামা। একবার ইভানের দিকে তাকিয়েই উত্তেজিত হয়ে বলে উঠল ‘স্যার! পাইছি স্যার!’ তার চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে কোটর ছেড়ে।

আর কথা না বাড়িয়ে বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে জাকির মামার পেছন পেছন হাঁটা শুরু করল ইভান। তার ব্যাগটা জাকিরের কাছে। ব্যাগের ভেতর একটা চকচকে ছুরি, যেটা কীভাবে তার ব্যাগে এল ও কিছুই জানে না। সবাইকে স্তম্ভিত করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল ইভান।

ইভানের ব্যাগ থেকে একটা বড় চকচকে ছুরি বের করে আনল জাকির মামা। গুঙিয়ে উঠল ক্লাসের সবাই। ‘অ্যাই চুপ। একটা সাউন্ড হবে না। কেউ নড়বে না।’ প্রচণ্ড জোরে ধমকে উঠলেন জমির স্যার। ইভান টের পেল ওর কান দুটো গরম হয়ে উঠেছে। মনে হলো, ডান পাশে হেলে গেছে পুরো ক্লাসরুম। পানির পাম্পের আওয়াজের মতো কেমন একটা ভোঁতা আওয়াজ ছাড়া আর কিছু শুনতে পাচ্ছে না সে। ‘আমার ব্যাগে ছুরি কী করে এল?’ এটাই মাথায় ঘুরছিল তার। জমির স্যারের ধমকে হুঁশ ফিরল ইভানের। ‘ইভান, তুমি জাকিরের সঙ্গে হেডস্যারের রুমে যাও।’

জমির স্যারের কথা শুনে শিউরে উঠল ইভান! জাকির তার হাত ধরতেই সে একঝটকায় হাত সরিয়ে চিৎকার করে বলল, ‘এটা আমার না স্যার। বিশ্বাস করেন, আমি কিছুই জানি না স্যার।’

আরও পড়ুন

জমির স্যার ঠান্ডা গলায় বললেন, ‘আমি কোনো কথা শুনতে চাই না। তুমি যাও ওর সঙ্গে, ওখানে গিয়ে সব শুনব।’

‘স্যার আমি সত্যি জানি না এটা কোত্থেকে আসছে! আপনি কিছু বলেন স্যার। আমার কোনো দোষ নাই স্যার বিশ্বাস করেন…’

‘চোপ!’ জমির স্যারের প্রচণ্ড ধমকে কেঁপে উঠল পুরো ক্লাস। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল ইভান। ‘চুপচাপ ওর সঙ্গে যাও। আর একটা কথাও যেন না শুনি। দ্রুত যাও।’

আর কথা না বাড়িয়ে বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে জাকির মামার পেছন পেছন হাঁটা শুরু করল ইভান। তার ব্যাগটা জাকিরের কাছে। ব্যাগের ভেতর একটা চকচকে ছুরি, যেটা কীভাবে তার ব্যাগে এল ও কিছুই জানে না। সবাইকে স্তম্ভিত করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল ইভান।

ইভান বেরিয়ে যাওয়ার পর লেকচার টেবিলের ওপর দুই হাতে ভর দিয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে রইলেন জমিরউদ্দিন সরকার। তাঁর ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। তাঁর ক্লাসের একটা বাচ্চা ব্যাগে এত বড় ছুরি নিয়ে এসেছে! চিন্তাই করা যায় না! জমিরউদ্দিন সরকার ঠিক কতক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে ছিলেন, তা তিনি টেরও পাননি। চশমাটা হাতে নিয়ে মুখ তুলে তাকালেন, ছাত্ররা সব মূর্তির মতো চুপচাপ বসে আছে মাথা নিচু করে। শুধু কাকতাড়ুয়ার মতো কান ধরে বেঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে রোল নম্বর ২৫। জমির স্যারের চোখে চোখ পড়তেই ছেলেটা ভয়ে ভয়ে বলল, ‘স্যার, বসব?’

ছেলেটাকে ইশারায় বসতে বললেন জমিরউদ্দিন সরকার। চশমাটা চোখে দিয়ে কাঁপা হাতে কলম তুলে আবার ডাকলেন, ’২৭!’ যা-ই ঘটুক, রোল কল তো তাঁকেই শেষ করতে হবে।

চলবে...

দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি
প্রচ্ছদ: আরাফাত করিম

আদনান মুকিতের লেখা 'দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি' ২০২৩ সালের জানুয়ারি সংখ্যা থেকে কিশোর আলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রথমা প্রকাশনী থেকে কিশোর উপন্যাসটি পরিমার্জিত হয়ে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি কিনতে পাওয়া যাবে এই লিংক থেকে: 'দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি' । লিংকে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করতে পারো অথবা ফোন করো এই নম্বরে: 01730000619

আরও পড়ুন