ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করা কার্ড
প্রিয় কিআ,
জন্মদিনের সীমাহীন শুভেচ্ছা। যদিও একটু দেরি হয়ে গেল! তোমার ১২ বছর হলো, আমারও এ বছর ১২ হলো। তুমি কি এবার কোনো গিফট কার্ড পেয়েছ? আমি একটি কার্ড পাঠিয়েছি তোমাকে। আসলে আমি তোমাকে কী দেব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাই এই সিম্পল কার্ড দিয়ে উইশ করলাম। কিন্তু যে ভালোবাসা দিয়ে কার্ডটি তৈরি করেছি, তা সিম্পল হয় কীভাবে! এর আগে যখন তোমাকে চিঠি পাঠিয়েছি, মনে হয়েছে আমি আবোলতাবোল লিখেছি, তাই ছাপোনি। এবার কোনো ভুল হলে এড়িয়ে যেয়ো। তোমার কাছে আমার কিছু আবদার আছে। দুটি প্রশ্নও আছে।
আবদার–১: তোমাকে রকিব হাসানের ‘তিন গোয়েন্দা’র ‘ডেথ সিটি’ সিরিজ দিতে হবে। (প্লিজ)
আবদার–২: অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস (শুধু রাজনৈতিক নয়) নিয়ে একটা লেখা দিয়ো।
আবদার–৩: শাহরিয়ার খানের কমিক ধারাবাহিকভাবে দিয়ো।
জানো কিআ, আমি তোমার অনেক পুরোনো পাঠক। তোমার সঙ্গে পরিচয় হয় ২০১৯ সালে। ও হ্যাঁ, প্রশ্নগুলো হলো—
১. কার্ডটি তোমার কেমন লেগেছে?
২. পৃষ্ঠাসংখ্যা বেশি করলে কী হয়? (নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। না হলে এত বন্ধুর (পাঠক) কথা তুমি রাখবে না, তা তো হয় না)।
আজ এ পর্যন্তই। অনেক বেশি লিখে ফেললাম। আবদার আর প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলে খুশি। কার্ডটি গ্রহণ করলে তার চেয়েও খুশি হব। বিদায় (আপাতত)।
রাঈসা জাহান
ষষ্ঠ শ্রেণি, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
কিআ: তোমার কার্ডটা খুব সুন্দর হয়েছে রাঈসা। কার্ডটা এত সুন্দর হয়েছে যে কিআর একজন সদস্য সেটা বাসায় নিয়ে গেছে সাজিয়ে রাখার জন্য। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা উপহারের জন্য। এটা এবারের জন্মদিনের অন্যতম সেরা উপহার। তোমার অনেকগুলো আবদার আর প্রশ্ন আছে। সংক্ষেপে উত্তর দিচ্ছি। ‘ডেথ সিটি’ আমরা ছাপতে পারব না, যেহেতু এটা এরই মধ্যে প্রকাশিত এবং অনুমতির ব্যাপার আছে। বাকি দুটো আবদার পূরণের চেষ্টা করব। আর শেষ প্রশ্নটার উত্তর সংক্ষেপে দেওয়া কঠিন। তবু বলি, বেশি পৃষ্ঠা হলে আমাদের খরচও বেশি হবে। সেটার জন্য আরও বেশি বেশি বিজ্ঞাপন নিতে হবে। পত্রিকা ছাড়াও কিআ প্রকাশের জন্য বেশ বড় একটা খরচ হয়। সেটা চালানো কঠিন হয়ে যাবে। এটাই কারণ, অন্য কিছু নয়।