‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!/ মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা মনে মনে।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানে কল্পনায় যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমাদের ছোটবেলায় একটা আধুনিক গান শুনতাম হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে: ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়। হে মন বলাকা মোর অজানার আহ্বানে চঞ্চল পাখা মেলে ধরো।’ এসবই আসলে কাব্য করে বলা কথা। মানে হলো, আমরা কল্পনায় তো কত কিছু করি। মনের লাগাম কে টেনে ধরতে পারে?
কিন্তু শুধু কল্পনার কথা হচ্ছে না, হচ্ছে পরিকল্পনার কথা। হচ্ছে সেই স্বপ্নের কথা, যা এ পি জে আবদুল কালাম বলে গেছেন। হ্যাঁ, আমরা সবাই জানি, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি পদার্থবিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম বলেছেন, ‘স্বপ্ন তা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি। স্বপ্ন হলো তা-ই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’
এইখানে আবার আসবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের উক্তি, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।’ তুমি যত বড় হতে চাও, তত বড় হবে। তোমার লক্ষ্যটা যেন বড় হয়, তোমার স্বপ্ন যেন দিগন্তবিস্তারী হয়। শেখ সাদির একটা কথা পড়েছিলাম, ‘ঊর্ধ্ব দিকে নজর রেখো, অন্তত কিছুদূর উঠতেই পারবে’। এই কথাটা আরেকভাবে বলা হয়েছে, তুমি যদি একটা গাছের মাঝখানে ঢিল ছুড়তে চাও, তোমাকে গাছের চূড়ার দিকে লক্ষ্য করে ঢিলটা ছুড়তে হবে।
তোমরা যারা কিশোর আলোর পাঠক, তোমাদের বেশির ভাগই জেনারেশন আলফা। মানে তোমাদের জন্ম হয়েছে ২০১০ সালের পরে। আর জেন–জি পাঠকও আছে।
তোমাদের জগৎ আসলে অসীম। তোমাদের স্পেস বা জায়গা অন্তহীন। হয়তো তুমি একটা ছোট্ট বাসায় থাকো, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ইন্টারনেটে যাওয়ার সুযোগ থাকায় তোমরা মুহূর্তেই যেকোনো জায়গায় পৌঁছে যেতে পারো।
আমার বয়স ৬০। আমি তোমাদের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতার একটা তুলনা করতে পারি। আমাদের ছোটবেলায় আমরা পেয়েছিলাম রেডিও। রেডিওতে আমরা গান শুনতাম, খবর শুনতাম, ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী শুনতাম, কেউ কেউ ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্যও শুনত। আমি প্রথম টেলিভিশন দেখি ১৯৭৭ সালে, তখন আমি রংপুরে থাকি। রংপুরে টেলিভিশন ছিল না, কারণ রংপুর থেকে টেলিভিশন দেখাই যেত না। ঢাকায় এসে আমি প্রথম সাদাকালো টেলিভিশন দেখি। ১৯৭৮ সালের পর রংপুরে টেলিভিশনের সম্প্রচার উপকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমরা রংপুরে একটা–দুটো করে সাদাকালো টেলিভিশন আসতে দেখি। আমাদের নিজেদের বাসায় ১৯৮২ সালের পর একটা অ্যানালগ ফোন আসে। তখন আমি কলেজে পড়ি। আর আমার ঢাকায় বাসায় প্রথম ফোন আসে ১৯৯৫ সালের পর। তার মানে আমার বয়স তখন ৩০। আর আমার ৩৩ বছর বয়সে, ১৯৯৮ সালে আমি প্রথম একটা মোবাইল ফোন কিনি। সেটার আকার ছিল বিশাল।
আমরা যেদিন প্রথম মোবাইল ফোনে টেক্সট মেসেজ আদান-প্রদান করি, সেদিন আমি অবাক হয়েছিলাম। যেদিন প্রথম ফোন নিয়ে আমি ঢাকার বাইরে যেতে পারলাম, সেদিন বারবার করে ঢাকায় ফোন করে বলছিলাম, আমি না এখন রংপুরে। সেখান থেকে ফোন করা যাচ্ছে। কুড়িগ্রামের চরে গিয়ে যেবার নেটওয়ার্ক পেলাম, সেদিনও আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। আর যখন মোবাইল ফোনে ক্যামেরা এল, তখন সেটা দিয়ে ছবি তোলা ছাড়া আর কোনো কাজ করা যাবে কি না, আমরা জানতাম না। আমি প্রথম ইন্টারেনট দেখি ১৯৯৫ সালে, আমেরিকা গিয়ে। আর প্রথম যেদিন মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও কল করা গেল, সেদিন তো আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
ছোটবেলায় ১৯৭৮ সালে ঢাকায় এসে মামার বাড়ির টেলিভিশনে রিমোট কন্ট্রোল দেখে আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম। সে কী কথা, টেলিভিশনের সুইচ অন–অফ করতে হবে না? এখনো রিমোট আমাকে বিস্মিত করে। আর এখন আমাদের সবার হাতে একটা করে টেলিভিশন সেন্টার। আমি চাইলেই এখন ফেসবুকে ঢুকে লাইভ প্রচার করতে পারি, যেকোনো কিছু।
তোমরা আমাদের এসব কথার কিছুই বুঝবে না। এখন এক বছরের শিশু সবার আগে ‘মা’ ডাক শেখে, তারপর নাকি শেখে ‘ইতুব’। কাজেই জেনারেশন আলফার জন্য সমস্ত পৃথিবী হাতের মুঠোয় এসে গেছে।
এখন দরকার সেই পৃথিবীটাকে মানুষের উপকারে লাগানো; নিজের, পরিবারের, সমাজের, দেশের, জগতের উপকারে লাগানো।
এর মধ্যে এসে গেছে এআই। আমি যদি এআইকে বলি, আনিসুল হকের হয়ে ১৫০ শব্দ লিখে দাও, সে লিখে দেবে। আচ্ছা, দাঁড়াও, এআইকে বলছি। দেখি সে কী লেখে।
এই যে চ্যাটজিপিটি লিখেছে:
‘আমাদের ভেতরেই লুকিয়ে আছে সীমাহীন শক্তি। কিন্তু আমরা নিজেরাই সেই শক্তির চারপাশে দেয়াল তুলে দিই। ভাবি—আমার পক্ষে হবে না, আমি পারব না। অথচ সত্যি হলো, আমি যত দূর যেতে চাই, সেই দূরটাই আমার।
‘কখনো হোঁচট খেতে হবে, কখনো ব্যর্থ হব, কেউ কেউ উপহাসও করবে। তবু দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে যেতে হবে। নদীর মতো, যে পাথর ঠেলে পথ করে নেয়।
আগে বাংলাদেশ যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলত না, তখন এশিয়া কাপে চান্স পেলে বলত, আমরা ৫০ ওভার ব্যাট করব। এখন বাংলাদেশ এশিয়া কাপে খেলছে, আর তাদের লক্ষ্য ঘোষণা করেছে, চ্যাম্পিয়ন হব। খেলায় ৮ দল খেলবে, একটা মাত্র দল চ্যাম্পিয়ন হবে
‘তুমি যদি চাও আকাশ ছুঁতে, তবে তোমার ডানা তৈরি হবে স্বপ্নে আর অধ্যবসায়ে। যে শিক্ষার্থী ভোরে উঠে পড়ে, যে কিশোর সাহস করে অজানা পথে হাঁটে—তাদের জন্য পৃথিবী অপেক্ষা করে।
‘নিজেকে বিশ্বাস করো। পরিশ্রম করো। হাল ছেড়ো না। মনে রেখো—তোমার শক্তির সীমা ঠিক করে দেয় কেবল তুমিই। তাই বলি, যত দূর যেতে চাই, তত দূর আমার।’
কেমন লিখল এআই! আমার নিজের খুব পছন্দ হয়নি। তবে একটা সময় এআই নিশ্চয়ই আমার মনের কথা আমার চেয়েও ভালো করে লিখবে। আসলে পৃথিবী এত দ্রুত বদলে যাচ্ছে, তাল মেলানো মুশকিল। কিন্তু আসল কথা হলো, পৃথিবী বদলে যাচ্ছে না, মানুষেরাই এই এআই, এই মোবাইল ফোন, এই কম্পিউটার, এই রকেট, এই মিসাইল, স্যাটেলাইট, ড্রাইভার–ছাড়া গাড়ি বানাচ্ছে। যন্ত্রকে আমরা আমাদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করছি।
এখনো মানুষ অনেক বিপজ্জনক কাজ করে। যেমন এখনো খনির গর্তের মধ্যে মানুষ ঢোকে, কয়লা বা অন্য খনিজ পদার্থ তোলে। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার খবর আসে। খনিতে তো মানুষের ঢোকার দরকার পড়বে না। বা বাংলাদেশে কাচের কারখানায় মানুষ কাজ করে। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পায়। এখানে মানুষের বদলে যন্ত্র কাজ করুক। বা আমাদের ম্যানহোলে শ্রমিকেরা ঢুকে প্রায়ই মৃত্যুবরণ করেন। দরকার নেই।
কিন্তু কবিতা কে লিখবে? যন্ত্র, না মানুষ। মানুষ। ছবি কে আঁকবে? যন্ত্র, না মানুষ। মানুষ।
তেমনি আমাদের যন্ত্র বা বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণে কে ব্যবহার করবে? মানুষ।
যত দূর যেতে চাও, তত দূর তোমার। এই কথাটার তিনটা দিক আছে। এক হলো ব্যক্তিগত উন্নতির দিক। তুমি ডাক্তার হতে চাইলে ভালোভাবে পড়াশোনা করো, সাধনা করো, ডাক্তার হতে পারবে। ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইলে সাধনা করো, হতে পারবে। জজ-ব্যারিস্টার হতে চাও, ফুটবলার বা ক্রিকেটার হতে চাও, পরিশ্রম করতে হবে, ওই কাজটা তোমার ভালো লাগতে হবে, তাহলে তুমি একটা পর্যায় পর্যন্ত অবশ্যই যেতে পারবে।
মানে শর্ত দুটো। কাজটা তোমার প্রিয় হতে হবে। আর কাজটা তোমাকে সর্বশক্তি দিয়ে করে যেতে হবে। পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।
আর দ্বিতীয় দিকটা হলো, তোমার স্বপ্নটাকে বড় করো।
আগে বাংলাদেশ যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলত না, তখন এশিয়া কাপে চান্স পেলে বলত, আমরা ৫০ ওভার ব্যাট করব। এখন বাংলাদেশ এশিয়া কাপে খেলছে, আর তাদের লক্ষ্য ঘোষণা করেছে, চ্যাম্পিয়ন হব। খেলায় ৮ দল খেলবে, একটা মাত্র দল চ্যাম্পিয়ন হবে, কিন্তু কোনো দল যদি মনে না করে যে তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়, তাহলে তো তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না।
তিন নম্বর দিক হলো, তোমার সাফল্য যে শুধু তোমার গ্রামে, পাড়ায়, ক্লাসরুমে, জেলায় বা দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে, তা কিন্তু নয়। এখন তোমার সাফল্যকে তুমি ছড়িয়ে দিতে পারো পৃথিবীজুড়ে।
বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এখন পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ে। তারপর তারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়, বড় বড় ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করে, বড় বড় প্রতিষ্ঠান চালাতেও শুরু করে বাংলাদেশের মানুষেরা।
এমনকি তুমি দেশে বসে এমন একটা কিছু উদ্ভাবন করতে পারো, যা সারা পৃথিবীর মানুষের কাজে আসতে পারে।
কিশোর আলোর সবার একটা প্রিয় কবিতা আছে, কাজী নজরুল ইসলামের লেখা--
থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে,
কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘুর্ণিপাকে।
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ছুটছে তারা কেমন করে,
কিসের নেশায় কেমন করে মরছে যে বীর লাখে লাখে,
কিসের আশায় করছে তারা বরণ মরণ-যন্ত্রণাকে।।
...
...
রইব না কো বদ্ধ খাঁচায়, দেখব এ-সব ভুবন ঘুরে-
আকাশ বাতাস চন্দ্র-তারায় সাগর-জলে পাহাড়-চুড়ে।
আমার সীমার বাঁধন টুটে
দশ দিকেতে পড়ব লুটে:
পাতাল ফেড়ে নামব নীচে, ওঠবো আবার আকাশ ফুঁড়েঃ
বিশ্ব-জগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।।
কিন্তু শুধু ব্যক্তিগতভাবে সফল হলেই হবে না। নিজেকে সফল অবশ্যই করতে হবে। কমপক্ষে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু তারও চেয়ে বড় কথা, মানুষের উপকার করতে হবে। কারও ক্ষতি করা যাবে না। এই ২০২৫ সালে পৃথিবীতে এত অন্যায়, এত অবিচার, এত রক্তপাত। গাজার শিশুদের বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ করছে। মানুষ শুধু শত্রুতার ছুতো খুঁজছে, মিলনের সেতু খুঁজছে না। আমরা স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর পৃথিবীর। যেখানে কোনো বোমা থাকবে না, বোমারু বিমান থাকবে না, মিসাইল থাকবে না। কেউ কাউকে আঘাত করবে না।
সবাই নিরাপদ থাকবে। সবার পেটে ভাত থাকবে, সবাই শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের অধিকার পাবে। আইটি বা ইন্টারনেটও সমান সুযোগ এনে দেবে সবার সামনে।
আমাদের স্বপ্নটা তাই শুধু ব্যক্তিগত হবে না, সমস্ত জগতের কল্যাণের স্বপ্ন হবে।
আলেকজান্ডারের ঘোড়া বুসেফেলাসকে একদিন ঘোড়াটার প্রশিক্ষক সামলাতে পারছিল না। ঘোড়াটা চঞ্চল হয়ে উঠেছিল। আলেকজান্ডার এসে ঘোড়ার লাগাম ধরে একটা কিছু করলেন।
এ জন্য সবার আগে করতে হবে নিজের কাজ। লেখাপড়া করতে হবে ঠিকঠাক। তারপর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে। ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া, খেলাধুলা আর ঘুম। ঘুমের সময় কোনো যন্ত্র আশপাশে রাখাই যাবে না। তারপর বই পড়া, গান শোনা, স্কুলে নানা রকমের ক্লাবে যুক্ত হওয়া, বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, সাহিত্য ক্লাব, বুক ক্লাব, মিউজিক ক্লাব, ড্রামা ক্লাব, লিটারেচার ক্লাব—নানা কিছু করে যেতে হবে।
আর সব সময় চেষ্টা করতে হবে, আচার-ব্যবহার-কথাবার্তা যেন সুন্দর হয়। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কথাবার্তা হবে শোভনসুন্দর।
ডিভাইস টাইম হতে হবে সীমিত। সারাক্ষণ স্ক্রিনে থাকা চলবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু লিখবে না, পোস্ট করবে না, যা তুমি তোমার মা–বাবাকে দেখাতে পারবে না।
যত দূর যেতে চাও, তত দূর তোমার। তোমরা যেতে চাইবে আলোর দিকে, ভালোর দিকে।
আলেকজান্ডারের ঘোড়া বুসেফেলাসকে একদিন ঘোড়াটার প্রশিক্ষক সামলাতে পারছিল না। ঘোড়াটা চঞ্চল হয়ে উঠেছিল। আলেকজান্ডার এসে ঘোড়ার লাগাম ধরে একটা কিছু করলেন। আর ঘোড়াটা শান্ত হয়ে গেল। তিনি কী করেছিলেন? আলেকজান্ডার বললেন, সূর্য ছিল ঘোড়াটার পেছনে। তাই ছায়া পড়েছিল সামনে। ছায়া দেখে ঘোড়া ভয় পেয়ে গেছে। আমি শুধু ঘোড়ার মুখ সূর্যের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছি। এখন ছায়া পড়েছে পেছনে। ঘোড়া আর ভয় পাচ্ছে না।
আমরা অন্ধকারকে ভয় পাই। আলোতে ভরসা পাই। আমাদের মুখ যেন আলোর দিকে থাকে। আমাদের ছায়া যেন আমাদের সামনে না পড়ে।
