সায়েন্স ফিকশন বা সাইফাই শুধু কল্পনা নয়, এর মধ্যে আছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর কল্পনার মিশ্রণ। গল্প যারা পছন্দ করে, তাদের মধ্যে একদলকে পাওয়া যায়, যারা সায়েন্স ফিকশন হাতে পেলে সব ভুলে যায়। আরেক দল আছে সব রকম গল্প পড়ে। কিছু মানুষ সায়েন্স ফিকশন পছন্দ করে, কিছু মানুষ আবার পছন্দ করে না। তুমি সায়েন্স ফিকশনের জগতে ডুবে থাকো কি না, সেটা জানার চেষ্টা করতে পারো নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে। চলো জানার চেষ্টা করি, তুমি কতটা সাইফাইপ্রেমী।
১. তোমার কি দিন কাটে অনলাইনে বই বিক্রির সাইটগুলোর সায়েন্স ফিকশন সেকশনে ব্রাউজ করে?
ক. হ্যাঁ, আমি প্রায়ই সায়েন্স ফিকশন বইগুলো দেখি, বই কিনি ।
খ. তেমন একটা দেখি না, খুব কম দেখি।
গ. না, দেখি না।
২. তোমার প্রিয় বই কোনগুলো?
ক. সায়েন্স ফিকশন আমার সবচেয়ে প্রিয়, সবকিছুর ঊর্ধ্বে বলা চলে।
খ. আমি সায়েন্স ফিকশন পড়ি, থ্রিলার পড়ি, সামাজিক গল্প ও উপন্যাস—সবই পড়ি ।
গ. আমি সায়েন্স ফিকশন তেমন পড়ি না। আমার অন্যান্য বই ভালো লাগে।
৩. তুমি যদি শোনো, আগামী শুক্রবার তোমার কাছের সিনেমা হলে নতুন সাইফাই সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, তুমি কী করবে?
ক. ট্রেলার দেখেই খুব আগ্রহী হবে। যেমন ডুন, স্টার ট্রেক, অ্যাভাটার, এমন কিছু এলে অবশ্যই দেখতে যাওয়ার চেষ্টা করব, প্রিমিয়ারে যাব।
খ. সিনেমা ভালো না খারাপ, আগে বন্ধুদের দেখা হলে রিভিউ শুনব, পরে যাব কি না, সিদ্ধান্ত নেব।
গ. সাইফাই সিনেমার চেয়ে অন্য সিনেমা আমার বেশি ভালো লাগে। দেখলে তেমন কিছু দেখব।
৪. তুমি যে সায়েন্স ফিকশন বইগুলো পড়েছ, সেই বইগুলোতে নতুন কোনো কল্পিত প্রযুক্তি দেখলে তোমার যেমন লাগে—
ক. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশনগুলো, ফ্র্যাঙ্ক হার্বার্টের ডুন, আইজ্যাক আসিমভের ফাউন্ডেশন, এসবে থাকা প্রযুক্তির বাস্তবের সঙ্গে মিল দেখে আমার মাথা ঘুরে যায়।
খ. মাঝেমধ্যে ভালো লাগে। অনেক সময় মনে হয় বেশির ভাগ কল্পনা বা অতিরঞ্জিত।
গ. এই প্রযুক্তির সবটুকু কল্পনা। বাস্তবতার সঙ্গে আসলে মিল নেই।
৫. তুমি কোন ধরনের সাইফাই গল্প বা সিনেমা বেশি পছন্দ করো?
ক. মহাকাশ অভিযান, রোবট, এআই এবং নতুন প্রযুক্তি নিয়ে গল্প। মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশনগুলো আমার ভালো লাগে। কিশোর আলোর এই সংখ্যায় সায়েন্স ফিকশন গল্পগুলো আমার খুব ভালো লেগেছে।
খ. আমার সাধারণ গল্প বেশি ভালো লাগে। সায়েন্স ফিকশনও ভালো লাগে।
গ. সাইফাই আমার পছন্দের তালিকায় নেই।
৬. কোন ধরনের সিরিজ তোমার পছন্দ?
ক. শুধুই সায়েন্স ফিকশন সিরিজ। আমি টিভি বা নেটফ্লিক্সে শুধু সায়েন্স ফিকশন সিরিজগুলো দেখি। শুধু দেখি না, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। পুরো সিরিজ দেখা না হলে আমার শান্তি হয় না।
খ. মাঝে মধ্যে সায়েন্স ফিকশন সিরিজ দেখি। অন্যগুলো বেশি দেখি।
গ. এমন কিছু আমি দেখি না।
৭. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের যেকোনো সায়েন্স ফিকশন, হুমায়ূন আহমেদের নি, ফিহা সমীকরণ, তোমাদের জন্য ভালোবাসা, কুহক, সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কু, এ ধরনের বিখ্যাত বইগুলো পড়া নিয়ে তোমার অবস্থান কোথায়?
ক. এগুলো পড়ার মতো আনন্দের কাজ আমার কাছে আর কিছু নেই।
খ. কিছু সায়েন্স ফিকশন পড়েছি। অনেকগুলো এখনো আমার তালিকায় আছে। সময় করতে পারলে পড়ব।
গ. পড়িনি, পড়ার ইচ্ছা নেই।
৮. হঠাৎ যদি জানতে পারো, পৃথিবীতে সত্যিই এলিয়েন এসেছে, তখন তোমার কেমন লাগবে?
ক. খুব দারুণ, একদম অবিশ্বাস্য ঘটনা হবে। যেকোনো মূল্যে আমি এলিয়েনদের সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করব।
খ. এলিয়েন আসাটা স্বাভাবিক বিষয়। পড়ে বোঝার চেষ্টা করব ব্যাপারটা কী।
গ. এলিয়েনে বিশ্বাস করি না।
৯. সায়েন্স ফিকশনভিত্তিক গেমস নিয়ে তোমার অবস্থান—
ক. খুব পছন্দ করি। সায়েন্স ফিকশন গেমস নিয়মিত খেলি। নতুন গেমস এলে সঙ্গে সঙ্গে ডাউনলোড করি। স্টার ওয়ার্স, ফলআউট ইত্যাদি গেমের ব্যাপারে আমার জানা আছে।
খ. সায়েন্স ফিকশন গেমসে আমার আগ্রহ আছে, তবে খেলি না। পরে খেলব কখনো।
গ. সাধারণ গেমসে বেশি আনন্দ পাই।
১০. ভবিষ্যতে তুমি কোনো সাইফাই গল্প লেখা বা কোনো কাল্পনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা বা কাজ করতে চাও?
ক. হ্যাঁ, অবশ্যই করতে চাই।
খ. সম্ভব হলে করব, তেমন আগ্রহ নেই।
গ. না, এ বিষয়ে আমার আগ্রহ নেই।
নম্বর
ক = ১০, খ = ৫, গ = ০
ফলাফল
০-৪০: তুমি সাইফাইতে খুব বেশি আগ্রহী নও। গল্প বা সিনেমা মাঝেমধ্যে দেখলেও সব সময় ডুবে থাকো না।
৪১-৭০: তুমি মাঝারি সাইফাইপ্রেমী। সায়েন্স ফিকশন গল্প, সিনেমা, গেমস ইত্যাদিতে তোমার বেশ আগ্রহ আছে। তবে এতে একদম ডুবে যাওনি।
৭১-১০০: তুমি সত্যিই সাইফাইপ্রেমী! নতুন প্রযুক্তি, মহাকাশ অভিযান, রোবট বা সাইফাইয়ের যেকোনো কিছু নিয়েই তোমার দারুণ আগ্রহ। এগুলোর মধ্যে থাকলে তুমি এক ভিন্ন জগতে হারিয়ে যাও।