দশ
এক ঘণ্টা পর। কিশোরদের ব্যাকইয়ার্ডে স্লিপিংব্যাগে শুয়ে তিন গোয়েন্দা।
‘আমি এখনো বুঝতে পারছি না রয় টনির চাবি হাতাল কীভাবে,’ বলল রবিন।
‘খুব সোজা,’ বলল মুসা, ‘আমি অনেক আগেই বুঝে গেছি।’
কিশোর মাথা তুলে ওর দিকে চাইল।
‘দয়া করে বলবেন কি?’
নাটুকে দীর্ঘশ্বাস ফেলল মুসা।
‘জন বলেছিল কাল রাতে বৃষ্টি হতে পারে। সেটা শুনেছে রয়। ও জানত জন গা বাঁচানোর জন্য অন্য কোথাও আশ্রয় নেবে। তখনই টাকা চুরির বুদ্ধিটা মাথায় আসে ওর। টনি ঘুমিয়ে পড়লে চাবিটা নেয় সে।’
‘কিন্তু রয় টনির রুমে ঢুকল কীভাবে?’ প্রশ্ন করল কিশোর।
‘ঢুকতে হয়নি, ওরা একই রুমে ঘুমিয়েছে,’ জানাল মুসা।
‘তুমি জানলে কীভাবে?’ রবিনের জিজ্ঞাসা।
হাসল মুসা।
‘মি. লিস্টারের সঙ্গে ফায়ারওয়ার্কের ওখানে দেখা হয়েছিল, মনে আছে? উনি টনি আর রয়কে জিজ্ঞেস করেছিলেন রুমটা কেমন। রুমগুলো কেমন জানতে চাননি।’
‘ভাগ্যিস অফিসার ফলেট সময়মতো শেডে হাজির হয়েছিলেন,’ বলল কিশোর, ‘উনি জানলেন কীভাবে যে রয় ওখানে গেছে?’
‘জন মনে হয় তাঁকে বোঝাতে পেরেছিল,’ বলল মুসা, ‘জন হয়তো বুঝতে পেরেছিল চাবিটা হাতানোর একমাত্র সুযোগ রাতের বেলা, টনি যখন ঘুমিয়ে। আর জনের তো জানাই ছিল, টনি আর রয় একই রুমে থাকছে।’
‘তোমার মাথায় বুদ্ধি ঠাসা,’ বলল কিশোর।
‘ধন্যবাদ’ জানাল মুসা।
‘ইউ আর ওয়েলকাম,’ বলল কিশোর।
‘আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলে তোমাকে এফবিআই চিফ করব,’ বলল রবিন।
হাই তুলল মুসা।
‘না, আমাকে বরং খাদ্যমন্ত্রী কোরো।’
আঁধারে ফিক করে হেসে ফেলল তিন বন্ধু। মাথার ওপরে তারা মিটমিট করছে, ধীরে ধীরে ঘুমে তলিয়ে গেল ওরা।