অন্যান্য-কিআ
হাআআ করে তাকিয়ে আছে রবিন। তিনটি মশা, দুটি মাছি আর একটি ভিমরুল ঢুকে পড়ল মুখে, টেরই পেল না ও। পেপসোডেন্ট মার্কা দাঁত বের করে হাসছে ওর মামাতো ভাই সাফাত।
ছোটবেলা থেকেই আমার মাথায় ঘোরে বিশাল এক ভাবনা। তা হলো আমি যদি মিলি মানে আমার বিড়ালের জায়গায় থাকতাম আর মিলি যদি আমার জায়গায় থাকত তাহলে কী ভালোই না হতো, তাই না?
ছোটবেলায় সবাই বোকা থাকে। আমি বোকাই ছিলাম। তবে আমি এতই বেশি বোকা ছিলাম যে বোকামির পর হাসা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এমন একটা ঘটনা আছে মশা নিয়েও।
আমার বড় আপু কোনো এক কাজে রুমটিতে ঢুকেই বিকট শব্দে চিৎকার দেয়। দ্রুত সেখানে গেলাম আমরা। আপুর কথা অনুযায়ী দরজার পাশ থেকে দৌড়ে পালিয়েছে কিছু একটা। খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম আমরা। অবশেষে পাওয়া গেল ছোট্ট ...
ছোটবেলা থেকে সবার মুখে শুনে আসছি, ইবতিদা (আমার ডাকনাম) হাঁটতে হাঁটতে পড়ে যায়। হ্যাঁ, ছোটবেলায় সবাই একটু-আধটু পড়ে তো যায়ই! এতে আবার সমস্যা কী?
নতুন বাড়িতে উঠেছি। আশপাশের প্রতিবেশীরা অবশ্য বলছিল এখানে নাকি ওই জিনিসটা থাকে। অন্ধকার হলে ওটার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ওটা নাকি কামড়ে ধরে। কামড়ে ধরে রক্ত খেয়ে নেয়।
ভাবলাম, সময়টাকে একটু চ্যালেঞ্জিং করে তুলি। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করলাম। এক মিনিট পর বুঝলাম সময়টা আসলেই চ্যালেঞ্জিং। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস শুরু হলো। রাশি রাশি মেঘ তখন আমার পেছনে। দু-এক ...
আমি কি জানতাম সেদিনই তোমার সঙ্গে আমার শেষ বিকেল হবে? আমি আমার রুমে ছিলাম। তুমি এসে বললে, ‘চল, বের হই।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কই যাব এখন?’
জামিয়া দুনিয়ার সবচেয়ে কিউট ও ভালো মেয়ে (আমার অন্য বন্ধুরা মন খারাপ করিস না)। ওর ওপর রাগ করে আমি থাকতেই পারি না। রাগ করলেও সর্বোচ্চ দুই সেকেন্ড টেকে। এরপরই হেসে ফেলি।
আমাদের বাড়ির প্রাচীর ঘেঁষে একটি আমগাছ আছে। তার ছায়ার নিচেই একটি মই আছে। তো সেদিন কিশোর আলো পত্রিকায় আনিসুল হক স্যারের লেখা ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ রচনাটি পড়ছিলাম।
মা–বাবাকে ডাকতে তাদের রুমে গেল প্রিয়া। রুমে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তার হাসিমুখে আঁধার নেমে এল। একই ভুল সে বারবার করে। সে জেনেও মানতে চায় না যে তার মা-বাবা আর নেই।
তিন-চার বছর আগের কথা। গরমের ছুটিতে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমের মৌসুম। আমগাছে ঢিল না ছুড়লে কি হয়? আমের ঘ্রাণে চারদিক ম-ম করছে। এমনই এক দিনে আমাদের লক্ষ্য ছিল চুরি করে গাছ থেকে আম পাড়া।
টারজানের নামটি কমবেশি সবারই জানা। কারণ অ্যাডভেঞ্চারের কথা এলেই মনে পড়ে যায় টারজানের নামটা। কিন্তু প্রায় ১০০ বছর আগে এডগার রাইস বারোজের মাথায় সহজে নামটি আসেনি। গল্পটি লেখার পর চরিত্রের নাম নিয়ে বিপাকে ...
১০ বা ২০ মিনিট পর হঠাৎ মনে হতে লাগল, আমি হয়তো কোনো উঁচু পাহাড় বা ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাচ্ছি। ঠিক যেন রোলারকোস্টার রাইডে বসে আছি আর সেটা আচমকা নিচে নেমে যাচ্ছে। পুরো শরীরে বিদ্যুতের মতো একটা ঝাঁকুনি ...
কথা শুনেই আঁতকে উঠে তার দিকে তাকাতেই দেখি সে দুই হাতে মুখ চেপে হাসছে। সেই হাসার কোনো শব্দ নেই, শরীরটা শুধু খানিক দোলে। আমার চোখে চোখ পড়তেই এক দৌড়ে চলে গেল সে।